জার্মানির অস্ত্র ফুরিয়ে আসছে, কী করবে ইউক্রেন?

বিশ্ব ডেস্ক: ইউক্রেনে গুরুত্বপূর্ণ প্যাট্রিয়ট সিস্টেম সরবরাহ করা জার্মানি জানিয়েছে, নিজেদের অস্ত্রাগার থেকে কিয়েভকে অস্ত্র দেওয়ার সক্ষমতা প্রায় শেষের পথে।

বার্লিন বলছে, দেশের নিজস্ব প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বজায় রাখতে তাদের অস্ত্র সরবরাহ সীমিত করতে হতে পারে।

জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্বেগ

বুধবার (৫ মার্চ) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাইকেল স্টেম্পলকে তাদের অস্ত্রাগার থেকে প্যাট্রিয়ট সিস্টেম এবং অন্যান্য অস্ত্র ইউক্রেনে আরও সরবরাহ করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।

জবাবে তিনি জানান, বার্লিন ইতোমধ্যে ইউক্রেনকে প্রচুর সামরিক সহায়তা দিয়েছে, কিন্তু এর একটি প্রাকৃতিক সীমা রয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদার করাও জরুরি।” এতে বোঝা যাচ্ছে, জার্মানি এখন ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে আরও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

জার্মানির অবদান এবং সামরিক সহায়তা

২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে জার্মানি হয়ে উঠেছে কিয়েভের অন্যতম প্রধান সমর্থক। জার্মান সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ইউরো (৪৭ বিলিয়ন ডলার) সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

জার্মানির দেওয়া সামরিক সহায়তার মধ্যে রয়েছে-লেপার্ড ট্যাংক, প্যানজারফাস্ট ৩ অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক রকেট, স্টিংগার অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট মিসাইল, গেপার্ড অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট স্ব-চালিত সাঁজোয়া যান, প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।

নতুন অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা

জার্মান প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইউক্রেনকে সহায়তা দিতে গিয়ে দেশটির নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। ফলে নতুন করে অস্ত্র সরবরাহের ক্ষেত্রে বার্লিনকে কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।

এদিকে, ইউক্রেন জার্মানি থেকে আরও সামরিক সহায়তা চাইলেও জার্মান সরকার এখনো নিশ্চিত করেনি তারা নতুন করে অস্ত্র সরবরাহ করবে কি না। বরং, বার্লিন এখন প্রতিরক্ষা সক্ষমতা সংরক্ষণের দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে পশ্চিমা দেশগুলোর অস্ত্র সরবরাহের সামর্থ্য চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে, যা ভবিষ্যতে কিয়েভের সামরিক শক্তিকে দুর্বল করে দিতে পারে।