২৯৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ: আতিউর-বারকাতসহ ২৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

টুইট ডেস্ক: বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান ও অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতসহ ২৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এই আদেশ প্রদান করেন।

২৯৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ২৯৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ডা. আবুল বারকাত, জনতা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আব্দুছ সালাম আজাদসহ আরও ২০ জন।

নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্যান্য ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন-১. অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত; ২. বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর-২ আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, ৩. সাবেক সহকারী পরিচালক ইসমত আরা বেগম, ৪. সাবেক পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, ৫. মো. ইমদাদুল হক, ৬. নাগিবুল ইসলাম দীপু, ৭. ড. আর এম দেবনাথ, ৮. মো. আবু নাসের, ৯. সঙ্গীতা আহমেদ, ১০. অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র নাথ, ১১. জনতা ব্যাংকের সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক আজমুল হক, ১২. সাবেক এজিএম অজয় কুমার ঘোষ, ১৩. জনতা ভবন করপোরেট শাখার সাবেক ম্যানেজার মো. গোলাম আজম, ১৪. ব্যাংকের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান, ১৫. এসইও মো. এমদাদুল হক, ১৬. সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুল জব্বার, ১৭. সাবেক ডিএমডি মো. গোলাম ফারুক, ১৮. সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক, ১৯. এননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ বাদল, ২০. মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, ২১. পরিচালক মো. আবু তালহা ।

দুদকের বক্তব্য

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম জানান, সংস্থার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ আদালতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

দুদক আরও জানায়, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বিদেশে পালানোর চেষ্টা করতে পারেন, যা তদন্ত প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত করতে পারে। তাই সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করার জন্য তাদের বিদেশ গমন নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন বলে আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়।

আদালতের এই নিষেধাজ্ঞার পর, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেশের বিমানবন্দর ও সীমান্ত চেকপোস্টগুলোতে বিষয়টি নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করেছে। এছাড়া, দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।