৩ দিন ধরে পাকিস্তান-আফগান বাহিনীর সং(ঘর্ষ), উত্তেজনা তুঙ্গে

টুইট ডেস্ক: টানা তিন দিন ধরে সীমান্তে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। আফগান বাহিনীর আর্টিলারি শেলে পাকিস্তানের এক নাগরিক আহত হয়েছেন। সেইসঙ্গে বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ডনের অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বার্তাসংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তোরখাম সীমান্তবর্তী অঞ্চলে টানা তিনদিন ধরে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এতে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।

সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বেসামরিক সূত্র ডনকে বলেছে, আফগানিস্তান থেকে ছোড়া মর্টার শেলের ফলে বাছা মাইনার এলাকার বাসিন্দা ইশহাক খান আহত হয়েছেন। তবে তার অবস্থা গুরুতর নয়।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইশহাক খানকে প্রথমে তারা লান্দি কোটাল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর তাকে পেশাওয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়। আফগানিস্তানের মর্টার শেলের হামলায় বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উভয়পক্ষই ভারী অস্ত্র পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত চেকপয়েন্ট ও সামরিক স্থাপনাগুলিকে লক্ষ্য করে ব্যবহার করেছে। পাকিস্তান বাহিনীর হামলায় আফগানিস্তান ভূখণ্ডে কিছু ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে বন্দুকের শব্দ থেমে যায়, কিন্তু বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি আর্টিলারি শেলের হামলা শুরু হয় বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাকিস্তানের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, সোমবার রাতভর গোলাগুলির কারণে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উভয়পক্ষই হালকা ও ভারী অস্ত্র ব্যবহার করেছে।

ওই কর্মকর্তা বলেছেন, এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, হাই এলার্ট জারি করা হয়েছে। আফগান বাহিনীর হামলায় তিনজন নিরাপত্তা রক্ষী আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।

এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে অতর্কিত বিমান হামলা চালায় পাকিস্তানি বাহিনী। এতে আফগানিস্তানে অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও ছিল।

এই হামলার জবাবে সেইসময় কয়েকদিন পর পাকিস্তান সীমান্তের বিভিন্ন নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা চালায় তালেবান যোদ্ধারা। এতে অন্তত ১৯ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছিল। এরপর থেকে দেশ দুইটির মধ্যে উত্তেজনা চলছেই।