১৩৩ কোটি টাকা পাচার: সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান গ্রেপ্তার
টুইট ডেস্ক: ছাগল-কাণ্ডে আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির মুখপাত্র অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান।
সিআইডি জানায়, ইমরানের বিরুদ্ধে ১৩৩ কোটি টাকা পাচারের মামলা রয়েছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও বিধি অনুযায়ী, সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন, তৌহিদুল আলম জেনিথ ও অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সাদিক অ্যাগ্রোর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এই মামলার তদন্তের অংশ হিসেবেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কীভাবে শুরু হলো তদন্ত?
সাদিক অ্যাগ্রোর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ ওঠার পর বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট যৌথভাবে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে উঠে আসে, প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন অবৈধ উপায়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছে।
এর আগে, সাদিক অ্যাগ্রো এক ধরনের ছাগল ব্যবসার মাধ্যমে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছিল। বিনিয়োগের নামে পরিচালিত এই ব্যবসার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, এবং বেশ কিছু বিনিয়োগকারী প্রতারণার অভিযোগ করেন।
সিআইডির বক্তব্য
সিআইডির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, “ইমরান হোসেন দীর্ঘদিন ধরেই নজরদারিতে ছিলেন। পাচারকৃত অর্থের উৎস ও গন্তব্য খুঁজে বের করতে আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। একই সঙ্গে অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।”
গ্রেপ্তারের পরবর্তী পদক্ষেপ
ইমরান হোসেনকে আদালতে হাজির করা হবে এবং মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে রিমান্ড আবেদন করা হতে পারে। একই সঙ্গে তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
উল্লেখ্য, সাদিক অ্যাগ্রোর ছাগল ব্যবসা মডেল নিয়ে একসময় ব্যাপক আলোচনা ছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এতে প্রতারণার অভিযোগ বাড়তে থাকে, যা শেষ পর্যন্ত ১৩৩ কোটি টাকা পাচারের মামলায় রূপ নেয়।
এখন দেখার বিষয়, এই মামলায় আরও কারা জড়িত এবং তদন্ত কোন দিকে মোড় নেয়।