রাজশাহী মহানগরীর ঘনবসতি এলাকায় অবৈধ ভাবে মিল বসানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী হড়গ্রাম নতুন পাড়া ঘনবসতি এলাকায় অবৈধ ভাবে মিল বসানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শনিবার (১ মার্চ) বেলা সাড়েন ১১ টার দিকে ওই গ্রামে এই মানববন্ধন করেন তারা।

গ্রামবাসী অভিযোগ করেন, একই এলাকার বাসিন্দা ঝাটু শেখ নামের এক ব্যাক্তি ও তার বড় জামায় কুরবান আলী মিলে অবৈধভাবে অতিঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ধান-চাল ও আটাকা কুটানো (ভাংগা) মিল বসাচ্ছে। আমরা অনেকদিন হতে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করছি যে এই এলাকায় মিলটি বসানো ঠিক হচ্ছে না। যে জায়গায় মিলটি বসানো হচ্ছে এর সীমানা ঘেষে অনেকবাড়ী ঘর আছে। ধান-চাল আটা ভাঙ্গানো অবস্থায় মিলের মেশিনের আওয়াজে শব্দ দূষণ হবে। এতে করে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার ক্ষতি হবে সেই সাথে রাতে ঘুমানোর সমস্যা হবে। এছাড়াও মিলের ধূলো ময়লা বালি উড়ে বাড়ী ঘরের ভিতরে ঢুকে সবকিছু নষ্ট হয়ে যাবে। তাই আমাদের দাবি মিলটি এখানে না বসিয়ে নির্জন এলাকায় গিয়ে বসালে খুব ভালো হয়।

মানববন্ধনে এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করেন, তাদের ভালোভাবে নিষেধ করলে বাজে ব্যবহার ও মুখের ভাষা খারাপ করে গালিগালাজ করে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও রাজশাহী মহানগর সংবাদপত্র শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুস্তাক আহমেদ বলেন, আমরা এলাকাবাসী তাদেরকে অনুরোধ করেছি মিলটি এখানে না বসানোর জন্য। পরে পরিবেশ অধিদপ্তর, সিটি কর্পোরেশন, রাজপাড়া থানা, বিদ্যুৎ বিভাগসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেছি কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এখনো কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

মো: রেন্টু জানান, এই এলাকায় মিলটি বসলে সব সময় শব্দদূষণ হবে। ধুলোবালি উড়ে পরিবেশও দূষণ হবে। মিলের মালিক ঝাটু শেখ ও তার ছেলেদের আমরা বারবার অনুরোধ করেছি মিলটি না বসাতে তবুও তারা শুনেনি। আমরা চাই পরিবেশ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।

লিখিত অভিযোগের বিষয়ে রাজশাহী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক নীল রতন সরকার বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমি মিল মালিকের সাথে কথা বলেছি এবং সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছি। তবে যেহেতু বিষয়টি তারা শুনেনি বলে জানলায় পুনরায় বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।

রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কবির হোসেন বলেন, অভিযোগের বিষয়টি এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না তবে পুরাতন মিল নতুন করে ঘনবসতি এলাকায় বা অন্যত্র বসাবে এমন সুযোগ নেই তবে অভিযোগের বিষয়টি আবারও দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।