ন্যূনতম সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান খালেদা জিয়ার
টুইট ডেস্ক: রাষ্ট্র মেরামতের ন্যূনতম সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার জন্য সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে দলটির বর্ধিত সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার তাগিদ
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, অসুস্থতার কারণে যুক্তরাজ্যে থাকলেও সবসময় আপনাদের পাশে আছি। গত ১৫ বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য আপনারা যে নিরন্তর সংগ্রাম করেছেন, তাতে অসংখ্য নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছেন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং প্রায় সোয়া লাখ নেতাকর্মী মিথ্যা মামলায় জর্জরিত হয়ে এখনো ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন। আপনাদের এই ত্যাগ জাতি চিরকাল স্মরণ রাখবে।
জুলাই বিপ্লবের প্রতি শ্রদ্ধা
দীর্ঘ ছয় বছর পর ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায়ের পর দলীয়ভাবে একত্রিত হতে পারায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া প্রকাশ করেন খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে তিনি জুলাই বিপ্লবসহ ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
দলের ঐক্যের আহ্বান
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, “আমার অবর্তমানে তারেক রহমান দলকে সুসংগঠিত করেছে। তাই এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যাতে এতদিনের সংগ্রাম বৃথা যায়। ব্যক্তি নয়, দল বড়, আর দলের চেয়ে দেশ বড়—এই নীতি মেনে চলতে হবে। ক্ষুদ্র বিভেদ ভুলে সবাইকে এক হতে হবে।”
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার প্রতিশ্রুতি
তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্টরা এখনও জুলাই আন্দোলনের অর্জন নস্যাৎ করতে গভীর ষড়যন্ত্র করছে। ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলে এসব চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে। দলকে সুসংহতভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে নেতৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়।
প্রতিহিংসার বদলে ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে উন্নত, গণতান্ত্রিক ও বাসযোগ্য রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে।”
খালেদা জিয়ার বক্তব্যে গণতন্ত্র, ঐক্য, ত্যাগ, প্রতিরোধ ও ভ্রাতৃত্বের বার্তা রয়েছে। এটি দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে নেওয়ার একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে। বিএনপি যদি এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়, তবে এটি দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।