চাঁদাবাজির অপপ্রচারে ক্ষুব্ধ রাজশাহীর সমন্বয়ক
অন্তর্বর্তী সরকারের বক্তব্যে অস্থিতিশীলতা
টুইট ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু ব্যক্তির দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যে দেশ অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে-এমন অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতারা।
তারা দাবি করেছেন, রাজশাহীর বারিন্দ মেডিকেল কলেজে সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে ‘চাঁদাবাজি’র অপপ্রচার চালানো হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেশকাত মিশু বলেন, “ঘটনাটিকে ইস্যু করে আমাদের চাঁদাবাজ বানানোর অপচেষ্টা চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো সঠিক তথ্যপ্রমাণ ছাড়া আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। আমাদের মর্যাদাহানি করার উদ্দেশ্যে যারা এই অপপ্রচারে লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।”
মেশকাত মিশু আরও বলেন, “এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।”
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আওয়ামী লীগের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বাবার মালিকানাধীন নগরীর চন্দ্রিমা থানার পদ্মা আবাসিক এলাকার বারিন্দ মেডিকেল কলেজে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা লুকিয়ে আছেন-এমন তথ্য পেয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা সেখানে যান।
তাদের মধ্যে ছিলেন, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেশকাত মিশু, রাজশাহীর যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ বারী, মুখ্য সংগঠক সোহাগ সর্দার, রাবির সাবেক শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব।
তারা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে মেডিকেল কলেজের কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে সেখানে লোকজন জড়ো হয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে আন্দোলনকারীদের উদ্ধার করে।
‘চাঁদাবাজি’ অভিযোগ নিয়ে পুলিশের বক্তব্য
এ বিষয়ে চন্দ্রিমা থানার ওসি মোহাম্মদ মতিয়ার রহমান বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা বারিন্দ মেডিকেল কলেজের এমডির ছেলের (সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম) খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন। সেখানে বাকবিতণ্ডা ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে আমরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করি। তবে প্রাথমিকভাবে কোনো চাঁদাবাজির তথ্য পাইনি।”