আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর অবস্থানে সরকার
টুইট ডেস্ক: দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপরাধ দমন নিশ্চিত করতে সরকার কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে যৌথবাহিনী গঠন করে টার্গেট এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
একই সঙ্গে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তল্লাশি চৌকি স্থাপন ও অপরাধ প্রবণ এলাকায় টহল কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বক্স চৌধুরীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় যৌথবাহিনীর মাধ্যমে টার্গেট এলাকাগুলোতে বিশেষ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ছিনতাই ও ডাকাতির মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দমনে সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপরাধীদের গ্রেফতার করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, রাজধানগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে নৌবাহিনীর অতিরিক্ত টহল বাড়ানো,
কোস্টগার্ডের বিশেষ টহল ইউনিট কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মোতায়েন থাকবে।
ডিএমপির পুলিশ সদস্য, বিজিবি, আনসার ও কোস্টগার্ড সদস্যদের জন্য মোটরসাইকেল ক্রয় করা হবে, যাতে দ্রুত সাড়া দেওয়া সম্ভব হয়। ছিনতাই ও ডাকাতির প্রবণতা বেশি এমন এলাকায় বিশেষ কম্বাইন্ড অভিযান পরিচালনা করা হবে।
রাজধানী ঢাকা ছাড়াও টঙ্গি, বসিলা, কেরানীগঞ্জ এবং মুন্সিগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় টহল বাড়ানো হবে। এতে ৫০০ এপিবিএন সদস্যকে ডিএমপিতে সংযুক্ত করে পুলিশের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সন্ত্রাসী তালিকা ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা
থানাভিত্তিক সন্ত্রাসীদের হালনাগাদ তালিকা তৈরি করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ সহজ হবে এবং অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
গুজব ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রচারণা
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, মিথ্যা, গুজব ও প্রোপাগান্ডার বিপরীতে সত্য তথ্য প্রচারে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে জনগণকে সঠিক তথ্য জানানো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সময়ে সময়ে গণমাধ্যমকে ব্রিফিং দেওয়া হবে।
সরকারের কঠোর মনোভাব
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন সরকারের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এছাড়া, অপরাধ দমনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও কার্যকর করতে নতুন কৌশল বাস্তবায়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী। অপরাধ দমনে এই কঠোর পদক্ষেপ জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ আরও সুদৃঢ় করবে বলে মনে করা হচ্ছে।