আজ হ‌তে ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’

টুইট ডেস্ক: সরকার ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

২০০৯ সালের এই দিনে রাজধানীর পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ও ১৭ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন। ওই ঘটনার স্মরণে রাষ্ট্রীয়ভাবে দিনটি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব তানিয়া আফরোজ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে। তবে এটি সরকারি ছুটির অন্তর্ভুক্ত নয়। দিবসটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনসংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখের ০৪.০০.০০০০.৪১৬.২৩.০০২.১৭.৬১৪ সংখ্যক পরিপত্রের ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে সংঘটিত বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্য, বিজিবি সদস্য ও সাধারণ মানুষসহ মোট ৭৪ জন নির্মমভাবে নিহত হন। এ ঘটনা দেশের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ ট্র্যাজেডি হিসেবে বিবেচিত হয়।

রাষ্ট্রীয়ভাবে দিনটি পালনের ঘোষণাকে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের পরিবার এবং প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা স্বাগত জানিয়েছেন। তারা মনে করেন, এটি শুধু শহীদ সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো নয়, বরং ভবিষ্যতে এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে জনসচেতনতা তৈরির একটি পদক্ষেপ।

এ বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, “শহীদ সেনাদের আত্মত্যাগ স্মরণে রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি পালন করা হবে। এটি নতুন প্রজন্মকে দেশের সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগ সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দেবে।”

সরকারিভাবে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হতে পারে, যার মধ্যে থাকবে-শহীদ সেনাদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, পিলখানা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, গণমাধ্যমে বিশেষ প্রতিবেদন ও আলোচনা অনুষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেনাদের আত্মত্যাগ নিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের শহীদদের স্মরণে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এটি কেবল ইতিহাস সংরক্ষণই নয়, বরং সেনাবাহিনী ও দেশপ্রেমের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি উদ্যোগ।