বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার পেল দুই সদস্যের প্রতিষ্ঠান: প্রশ্ন তুললেন ট্রাম্প
ট্রাম্পের অভিযোগ: “কে এই প্রতিষ্ঠান? ২৯ মিলিয়ন ডলার কোথায় গেল?”
বিশ্ব ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি অজানা প্রতিষ্ঠানে ২৯ মিলিয়ন ডলার তহবিল বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন গভর্নরদের এক অধিবেশনে তিনি উল্লেখ করেন, ইউএসএআইডি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিকাঠামো শক্তিশালী করতে এই অর্থ প্রদান করেছে। তবে, এই প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়, এবং এতে মাত্র দুইজন কর্মী রয়েছেন। ট্রাম্প এই অর্থায়নের যৌক্তিকতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ইউএসএআইডি এবং ডিএফআইডি-এর অর্থায়নে ‘স্ট্রেংদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ’ (এসপিএল) কর্মসূচি ২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পরিচালিত হয়েছে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক দলগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, রাজনৈতিক সহিংসতা হ্রাস, এবং দল ও সংগঠকদের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করা।
ট্রাম্প একই অধিবেশনে ভারতে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য ২১ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দের বিষয়টিও উল্লেখ করেন এবং এই ধরনের অর্থায়নের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
উল্লেখ্য, ১৬ ফেব্রুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্টের ব্যয় সংকোচন দল (ডিওজিই) ১১টি দেশের বিভিন্ন প্রকল্পের তহবিল বাতিলের তালিকা প্রকাশ করে, যেখানে বাংলাদেশের এই প্রকল্পটিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, বিদেশে মার্কিন সহায়তা স্থগিত করার ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের প্রভাব বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে পড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে, মার্কিন অর্থায়নে চলমান কিছু প্রকল্পের কাজ বন্ধ বা স্থগিত করা হয়েছে, এবং কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের হোম অফিস করার নির্দেশ দিয়েছে।
এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যেগুলো মার্কিন সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।
এই ঘটনায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের মন্তব্য বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের ওপর কোনো দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।
এদিকে, মার্কিন সহায়তায় পরিচালিত কিছু প্রকল্প ইতোমধ্যে স্থগিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত কিছু সংস্থা তাদের কর্মীদের হোম অফিসের নির্দেশনা দিয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যদি মার্কিন সরকার তাদের বৈদেশিক সহায়তা নীতিতে পরিবর্তন আনে, তাহলে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে।