সাবেক আইজিপি শহিদুলের গোপন সম্পদ ফাঁস
- গোপন সম্পদের ‘২ বস্তা’ নথি উদ্ধার
- দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ অভিযানে চাঞ্চল্যকর তথ্য
টুইট ডেস্ক: সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহিদুল হকের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের গোপন নথি উদ্ধার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দুটি বস্তাভর্তি নথি জব্দ করে দুদক টিম।
তবে, মঙ্গলবার রাতে নথিগুলো উদ্ধার করা হলেও দুদকের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয় বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে।
দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শহিদুল হকের বিরুদ্ধে অসাধু উপায়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলমান। অনুসন্ধানের একপর্যায়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, শহিদুল হক তার অবৈধ সম্পদের দলিলপত্র গোপন করতে এগুলো আত্মীয়দের মাধ্যমে সরিয়ে ফেলেন।
গোপন তথ্যে আরও জানা যায়, ওই নথিগুলো প্রথমে এক আত্মীয়ের কাছে এবং পরে আরেক আত্মীয়ের বাড়িতে স্থানান্তর করা হয়। এতে শহিদুল হকের কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দুদকের সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াতের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম এই অভিযান পরিচালনা করে। অনুসন্ধানের সময় দুদক দল দুটি বস্তা উদ্ধার করে, যার ভেতরে ৩৮ প্রকারের মোট ৪৮টি আলামত পাওয়া যায়।
উদ্ধারকৃত নথিপত্রের মধ্যে রয়েছে, বিপুল মূল্যমানের সম্পত্তির দলিল, বিভিন্ন গোপনীয় চুক্তিপত্র, ডিড অব এগ্রিমেন্ট
পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, সংঘ স্মারকের ছায়ালিপি, অফার লেটার, ব্যাংক হিসাব বিবরণী।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, এই নথিগুলো শহিদুল হকের বিরুদ্ধে চলমান অনুসন্ধানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে। তারা নিরপেক্ষ সাক্ষীর উপস্থিতিতে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এসব আলামত জব্দ করেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধারকৃত নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে দ্রুতই পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি এসব নথিতে শহিদুল হকের অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক মামলা দায়ের করা হতে পারে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক আইজিপি শহিদুল হকের প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি। তবে তদন্তের স্বার্থে শিগগিরই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।