ভুটানের পর এবার বাংলাদেশ! স্টারলিংক চালুর সম্ভাবনা ২০২৫ সালে
বাংলাদেশে আসছে স্টারলিংক! স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের নতুন যুগের দ্বারপ্রান্তে দেশ
টুইট ডেস্ক: বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা সম্প্রসারণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি ভুটানে চালু হয়েছে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা, যা দক্ষিণ এশিয়ায় কোম্পানির উপস্থিতি আরও সুদৃঢ় করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যেই বাংলাদেশে স্টারলিংকের কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
বিশ্বব্যাপী দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করছে স্পেসএক্স-এর স্টারলিংক। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মঙ্গোলিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এটি চালু রয়েছে। তবে ভারতে এখনো নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে স্টারলিংক, আর মিয়ানমারে এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। তবে ভুটানে এটি চালু হওয়ায় বাংলাদেশেও এই সেবা শিগগিরই আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভুটানে স্টারলিংকের ‘রেসিডেনশিয়াল লাইট’ প্ল্যানে প্রতি মাসে ৩ হাজার গুলট্রাম (প্রায় ৪০০০ টাকা) খরচে ২৩-১০০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সরবরাহ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ‘স্ট্যান্ডার্ড রেসিডেনশিয়াল’ প্ল্যানে মাসিক ৪২০০ গুলট্রাম (প্রায় ৫৫০০ টাকা) খরচে ২৫-১১০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতি ও আনলিমিটেড ডেটার সুবিধা থাকছে।
বাংলাদেশে স্টারলিংক কবে চালু হতে পারে?
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যেই বাংলাদেশে স্টারলিংক সেবা চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সরকারী অনুমোদন ও বাংলাদেশের টেলিকম নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
বাংলাদেশে বর্তমানে ফাইবার অপটিক ও মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে স্টারলিংক সরাসরি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সংযোগ প্রদান করায় দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রথমদিকে স্টারলিংকের খরচ তুলনামূলক বেশি হতে পারে, তবে ভবিষ্যতে এটি প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে সেবা দিতে পারে।
বাংলাদেশে স্টারলিংকের চালু হলে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করবে, বর্তমান টেলিকম অপারেটরদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা বাড়বে এবং প্রাথমিকভাবে ব্যয়বহুল হলেও ভবিষ্যতে খরচ কমতে পারে।
বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে স্টারলিংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এখন শুধু সরকারি অনুমোদনের অপেক্ষা!