ভারতের ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৩১ মাওবাদী নি(হত)

টুইট ডেস্ক: ভারতের মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৩১ মাওবাদী নিহত হয়েছে। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বিজাপুর জেলার ইন্দ্রাবতী জাতীয় উদ্যানে দু’পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে আরও প্রাণ হারিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্য। চলতি বছরে দেশটির সবচেয়ে বড় এনকাউন্টারের ঘটনা এটি।

গোপন সূত্রের বরাতে সেখানে অভিযান চালায় দেশটির নিরাপত্তাবাহিনী। জেলা রিজার্ভ গ্রুপ, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ও বাস্তার ফাইটার ফোর্সের নিরাপত্তা কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনীর হাতে নাস্তানাবুদ হয় মাওবাদীরা।

অভিযানে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রসহ অনেক গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। তল্লাশি অভিযান এখনও চলছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম।

ছত্তিশগড়ের বস্তার রেঞ্জের পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজি) পি সুন্দররাজ বলেন, এনকাউন্টারে নিহত একজন সেনা ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং অপরজন মাওবাদীবিরোধী অভিযানে বিশেষজ্ঞ স্পেশাল টাস্কফোর্স (এসটিএফ) রাজ্যস্তরের সদস্য ছিলেন।

এই অভিযানের প্রশংসা করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বলেন, নকশালমুক্ত ভারত অর্জনের পথে এটি বড় সাফল্য। গত বছর তিনি ২০২৬ সালের মধ্যেই মাওবাদী বিদ্রোহ দমন করার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছিলেন।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই বলেন, দেশ তথা রাজ্য থেকে সমূলে নকশালদের উৎখাত করতে হবে।

জানুয়ারির শুরুতেও বিজাপুরের একটি আইইডি বিস্ফোরণে আটজন নিরাপত্তা কর্মী এবং একজন বেসামরিক চালকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে সেখানে শুরু হওয়া মাওবাদী বিরোধী অভিযান। ৩১ জানুয়ারির সেই অভিযানে প্রাণ হারায় আটজন মাওবাদী।

উল্লেখ্য, ভারতীয় সৈন্যরা ১৯৬৭ সাল থেকে মাওবাদীদের সাথে লড়াই করে আসছে। দেশটির সরকারি নথি অনুযায়ী, নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে গত বছর ২৮৭ বিদ্রোহী নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই ছত্তিশগড়ের। বিদ্রোহীদের দাবি, প্রান্তিক আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকারের জন্য তারা লড়াই করছেন।