গাজীপুরে শুরু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল-সমাবেশ
টুইট ডেস্ক: ছাত্র-জনতার উপর হামলার প্রতিবাদে গাজীপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল-সমাবেশ শুরু হয়েছে।
শনিবার দুপুর একটার পর এই মিছিল শুরু হয়। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থল গাজীপুর সদর উপজেলার রাজবাড়ী মাঠে জড়ো হতে দেখা গেছে।
মিছিলে অংশগ্রহণকারীদেরকে “গাজীপুরের মাটি, চব্বিশের ঘাঁটি”, “ইনকিলাব জিন্দাবাদ, মুজিববাদ মুর্দাবাদ” ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি- আগামীকাল দুপুর ১২টার মাঝে হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে হবে, সারাদেশে চিরুনি অভিযান চালিয়ে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসী’দের গ্রেফতার ও সাত দিনের মাঝে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে বিচারের আওতায় আনতে হবে, প্রশাসনের দায়িত্বে অবহেলার বিচার ও উপদেষ্টাদের জবাবদিহি করতে হবে, ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীদের’ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সরকারিভাবে সিলগালা করতে হবে, তাজউদ্দীন মেডিকেলের চিকিৎসা ব্যবস্থার অনিয়মের বিরুদ্ধে দ্রুতগতিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আজকের মধ্যেই আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস ভাঙার ঘোষণা দেয় তারা এবং সেইসাথে আরও বলে যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি সরকারিভাবে সিলগালা না করা হলে সেগুলোও ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।
এই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়করাও। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম সমাবেশস্থলে পৌঁছেছেন।
সমন্বয়ক আরিফ সোহেল তার বক্তব্যে বলেন, “আমলাতন্ত্র, পুলিশ, প্রশাসন সবকিছুর পুরনো রূপ ধ্বংস করে দিয়ে বাংলাদেশের বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে দিয়ে নতুন করে রাষ্ট্রব্যবস্থা সাজাতে বলেছিলাম আমরা।”
তিনি বলেন, “আজকে ছয় মাস পরে আমরা দেখতে পেয়েছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছুই করার নাই। আমাদের সংগ্রামী ভাইয়েরা আক্রমণের শিকার হয়েছে, রক্তাক্ত হয়েছে। প্রশাসন সহযোগিতা করে নাই। সেখানে ফ্যাসিবাদী দোসররা বসে আছে। যদি পুলিশ সহযোগিতা না করে, তাহলে নিজেদের রক্ষা করার দায়িত্ব নিজেদের নিতে হবে।”
সোহেল আরও বলেন, “যাদের সক্ষমতা আছে, তাদেরকে নিয়ে প্রয়োজনে নতুন বাহিনী তৈরি করা হোক। সারাদেশের সকল অরাজকতা আমরা থামিয়ে দিবো। এই পুলিশ থামাবে না। আমরা ছাড়া কেউ থামাবে না।”