জরুরি বৈঠকে বিএনপি

টুইট ডেস্ক: ঢাকার গুলশান কার্যালয়ে শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় শুরু হওয়া জরুরি বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে দলের নির্বাচনী কৌশল ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা ও বিতর্ক করেন।

বৈঠকের সভাপতি হিসেবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকটি দুপুর ১টায় সমাপ্ত হয়।

সদস্যরা একমত হন, বর্তমান সরকার দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

সামাজিক, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক দুর্বলতা দেশের মানুষের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। এই অবস্থা নির্বাচনী মাঠে নতুন ও কার্যকর পরিবর্তনের আহ্বান জানাতে বাধ্য করছে।

দলের অভ্যন্তরীণ সংগঠনকে শক্তিশালী করে নির্বাচনী প্রস্তুতিকে ত্বরান্বিত করা জরুরি।

প্রতিটি আঞ্চলিক ইউনিট ও কমিটির সমন্বয় বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় স্তরে সুসংগঠিত প্রচারণা পরিচালনার জন্য কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী নির্বাচনী বার্তা নির্ধারণ করে, আধুনিক প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

দলের তরুণ সদস্য ও নবযুগের নেতৃবৃন্দকে ব্যাপক প্রশিক্ষণ প্রদান করে, নির্বাচনী মাঠে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।
এলাকার মূলধারার জনগণের সমস্যা ও দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে, তা নীতিতে প্রতিফলিত করার লক্ষ্যে তরুণ নেতাদের ভূমিকা বৃদ্ধি করা হবে।

নির্বাচনী প্রচারণায় আইন শৃঙ্খলা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার মাধ্যমে জনসমর্থন অর্জনের লক্ষ্যে বার্তা প্রেরণ করা হবে।

সরকারের দুর্বল প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে পরিবর্তনের লক্ষ্যে, সুশৃঙ্খল ও জনসমর্থিত সরকার প্রতিষ্ঠার বার্তা সম্বলিত হবে।

আধুনিক প্রযুক্তি ও সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার: স্পষ্ট, সময়োপযোগী ও প্রাসঙ্গিক বার্তা প্রেরণের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছানো।

প্রত্যেক আঞ্চলিক ইউনিটের সমন্বয় বাড়িয়ে দলের অভ্যন্তরীণ কাঠামো সুসংগঠিত করা।

নবযুগের সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও সদস্যদের নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় করে তোলার জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ ও সুযোগসুবিধা প্রদান।

জনগণের সমস্যা ও দাবির সঠিক মূল্যায়ন করে তা নীতিতে প্রতিফলিত করা, যাতে জনগণের আস্থা অর্জিত হয়।

দে‌শের বৃহত্তম উন্নয়নশীল অংশীদারদের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখে বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা গ্রহণের মাধ্যমে উন্নয়নশীল নীতি ও বাস্তবসম্মত সমাধান আনা।

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা দেশের বর্তমান দুর্বল প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে নির্বাচনী মাঠে নতুন পরিবর্তন আনার জন্য সুসংগঠিত প্রচারণা, তরুণ নেতৃত্বের বিকাশ এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারকে প্রাধান্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

দলের অভ্যন্তরীণ সংগঠন শক্তিশালী করে, নির্বাচনী বার্তা প্রেরণে স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করে নির্বাচনে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনা হবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।