হাইকোর্টে বাতিল হলো প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ
টুইট ডেস্ক: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগপত্র প্রদানের সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালত মেধার ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলার জন্য তৃতীয় ধাপে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফলাফল ২২ এপ্রিল প্রকাশিত হয়, যেখানে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়।
গতবছরের ২৯ মার্চ, শুক্রবার, সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরে, ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলার ফলাফল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। এতে ৬ হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ হন।
নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে বিভিন্ন জেলার জন্য উত্তীর্ণ প্রার্থীর সংখ্যা ছিল নিম্নরূপ;
কক্সবাজার: ১৮৫ জন, কুমিল্লা: ৬৪১ জন, চট্টগ্রাম: ৮১২ জন, চাঁদপুর: ৩৫৮ জন, নোয়াখালী: ৩২৮ জন, ফেনী: ১৩৭ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ৩৪৯ জন, লক্ষ্মীপুর: ৩২৭ জন, কিশোরগঞ্জ: ২৮৮ জন, গাজীপুর: ২৪১ জন, গোপালগঞ্জ: ২৫৪ জন, টাঙ্গাইল: ৫৯৭ জন, ঢাকা: ৩০৯ জন, নরসিংদী: ২৬০ জন, নারায়ণগঞ্জ: ১৮৪ জন, ফরিদপুর: ২২৭ জন, মাদারীপুর: ২০৮ জন, মানিকগঞ্জ: ৩০১ জন, মুন্সীগঞ্জ: ২২২ জন, রাজবাড়ী: ১০৪ জন, শরীয়তপুর: ১৯৯ জন।
গত ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগপত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন। আদালত কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে তাদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য এ আদেশ দেন এবং রুল জারি করেন।
এখন, আদালতের নির্দেশে মেধার ভিত্তিতে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।