বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর

টুইট ডেস্ক: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়।

বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী প্রতিবেদন দুটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে দেন। এ সময় আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

যদিও প্রতিবেদনগুলোর বিস্তারিত বিষয়বস্তু এখনো প্রকাশ করা হয়নি, তবে জানা গেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে শতাধিক সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। জনপ্রশাসন খাতের নানামুখী উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এসব সুপারিশ প্রণয়ন করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, “আমাদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল গত মাসে। তবে মাঠপর্যায়ের কাজ এবং জনগণের মতামত সংগ্রহের জন্য আমরা কিছুটা সময় নিয়েছি। আমরা বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় গিয়ে সরাসরি মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি এবং অনলাইনেও মতামত নিয়েছি।

প্রতিবেদনে ১০০টির বেশি সুপারিশ রয়েছে। এখন এর বাইরে বিস্তারিত কিছু জানানো সম্ভব নয়।

সরকার গঠনের পর, রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতের কার্যকারিতা ও স্বচ্ছতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। এর মধ্যে ১৫ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয় ৩ অক্টোবর, শুরুতে ৮ সদস্য নিয়ে। পরবর্তীতে আরও তিনজন সদস্য যোগ করা হয়। কমিশনকে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রস্তুত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, যা তিনবার মেয়াদ বাড়িয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়। তবে নির্ধারিত সময়ের ১০ দিন আগেই কাজ শেষ করে প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, বিচারবিভাগকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ, এবং কার্যকর করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রস্তাব দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনে বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়।

প্রতিবেদন দুটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে প্রশাসনিক ও বিচার বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রক্রিয়ার একটি নতুন অধ্যায় শুরু হলো। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবেদনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নের দিকে নজর দেওয়া হবে।