সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ট্রান্সকম সিইও’র ১০০ কোটি টাকা ঘুষ লেনদেন?

টুইট ডেস্ক: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ স্থাপন করে হত্যা, শেয়ার জালিয়াতি, এবং প্রতারণার একাধিক মামলা থেকে রেহাই পেতে ট্রান্সকম গ্রুপের সিইও সিমিন রহমান প্রায় ১০০ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছেন—এমন অভিযোগ উঠেছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) যৌথ তদন্তে এ তথ্য উঠে এসেছে।

তদন্তকারীদের মতে, গণভবনে অনুষ্ঠিত তিনটি গোপন বৈঠকের মাধ্যমে এই লেনদেন সম্পন্ন হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সিমিন রহমান বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ও বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের জন্য ৫০ কোটি টাকা, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের জন্য ২৫ কোটি টাকা এবং আরও ২৫ কোটি টাকা নগদ প্রদান করেন। এই অর্থ লেনদেনের সময় বিতর্কিত ব্যবসায়ী সাইফুল আলম (এস আলম) এবং একাত্তর টেলিভিশনের তৎকালীন সিইও মোজাম্মেল বাবু উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে।

সূচনা ফাউন্ডেশনের আর্থিক অনিয়ম নিয়ে অনুসন্ধান চালানোর সময়ই এই তথ্যের সূত্রপাত ঘটে। একাধিক নথিপত্র এবং সাক্ষীর বয়ান এই অভিযোগের ভিত্তি তৈরি করেছে।

দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমরা এখনো প্রাথমিক অনুসন্ধান চালাচ্ছি। প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের পর পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

এই অভিযোগের বিষয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া যানায়নি। তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এই অভিযোগকে “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত” বলে দাবি করেছে।

২০২৩ সালের ২৩ জুন ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা লতিফুর রহমানের ছেলে আরশাদ ওয়ালিউর রহমানের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। আরশাদের মৃত্যুর পর তার বোন সিমিনি রহমানের রহস্যজনক তৎপরতা এড়ায়নি কারো। সিমিন রহমান ভাইয়ের মৃত্যুকে স্বাভাবিক হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করলেও এই ঘটনায় গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন আরেক বোন শাযরেহ হক। সে সময় তিনি দাবি করেন, পিতার সম্পত্তি আত্মসাতের জন্যই আরশাদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে সিমিন রহমান।

উৎস:
– দুর্নীতি দমন কমিশনের অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন
– সিআইডি তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার
– গণভবন ও সূচনা ফাউন্ডেশনের অভ্যন্তরীণ নথি