অবৈধ ৫০ হাজার বিদেশির মধ্যে ১৫ হাজার দেশ ছেড়েছেন

পরিস্থিতি মোকাবিলায় টাস্কফোর্স গঠন

টুইট ডেস্ক: বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থানকারী প্রায় ৫০ হাজার বিদেশি নাগরিকের মধ্যে ১৫ হাজার ৬১৮ জন জানুয়ারি মাসের মধ্যে দেশ ছেড়ে গেছেন। এখনো অবৈধভাবে অবস্থান করছেন ৩৩ হাজার ৬৪৮ জন।

এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে ১১ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন) এবং সদস্যসচিবের দায়িত্বে রয়েছেন বহিরাগমন-২ অধিশাখার যুগ্ম সচিব। টাস্কফোর্সটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবৈধ বিদেশিদের শনাক্ত, নিয়ন্ত্রণ ও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের (ডিআইপি) ভিসা শাখা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশিদের দেশত্যাগ বা ভিসা নবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার আবেদন জমা পড়ে, যাদের বেশির ভাগই ভারতীয় নাগরিক।

– ভারত: প্রায় ২৭ হাজার ভারতীয় নাগরিকের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ।
– চীন: প্রায় ১০ হাজার চীনা নাগরিকের ভিসার মেয়াদ শেষ।
– দক্ষিণ কোরিয়া: উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নাগরিক ভিসা নবায়নের আবেদন করেছেন।

ডিআইপির তথ্য অনুযায়ী, যেসব বিদেশির ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে, তাদের জরিমানা দিয়ে ভিসা নবায়ন করতে হবে। অন্যথায় আইনি জটিলতার মুখোমুখি হতে হবে।

পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) অবৈধ বিদেশিদের চিহ্নিতকরণে সরাসরি মাঠপর্যায়ে কাজ করছে। নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে, বিশেষ করে বড় বাণিজ্যিক এলাকা ও অভিবাসন হটস্পটগুলোতে।

অবৈধ বিদেশিদের নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর অবস্থান এবং টাস্কফোর্সের কার্যক্রম বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সরকার নিয়মিত আপডেট দেবে বলে জানানো হয়েছে।

অবৈধ অভিবাসন সমস্যার সমাধান কোনো একক পদক্ষেপে সম্ভব নয়। সরকারের উচিত আন্তর্জাতিক অভিবাসন নীতির আদর্শ অনুসরণ করে কঠোর আইন, মানবাধিকার সম্মান, অর্থনৈতিক ভারসাম্য এবং কূটনৈতিক কৌশলের সমন্বয়ে একটি টেকসই অভিবাসন নীতি প্রণয়ন করা।

এতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা যেমন নিশ্চিত হবে, তেমনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের মর্যাদা অক্ষুণ্ন থাকবে।