সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহানের সাড়ে ১১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ
টুইট ডেস্ক: সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খানের বিরুদ্ধে ১১ কোটি ৩৬ লাখ ৫১ হাজার ৫৫৫ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
একই অভিযোগে তাঁর স্ত্রী সৈয়দা রোকেয়া বেগম, ছেলে আসিবুর রহমান এবং মেয়ে ঐশী খানের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে।
আজ রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন।
আক্তার হোসেন জানান, শাজাহান খান ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়ের উৎসের বাইরে থেকে ১১ কোটি ৩৬ লাখ ৫১ হাজার ৫৫৫ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়াও, তাঁর নামে থাকা ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৮৬ কোটি ৬৯ লাখ ৩২ হাজার ৭৬৯ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী, শাজাহান খানের স্ত্রী সৈয়দা রোকেয়া বেগম স্বামীর রাজনৈতিক প্রভাব ও ক্ষমতা অপব্যবহার করে ৪ কোটি ৪৭ লাখ ১৯ হাজার ৮৪৬ টাকার জ্ঞাত আয়ের বাইরে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
তাঁদের ছেলে আসিবুর রহমানের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি পারিবারিক প্রভাব খাটিয়ে পরস্পর যোগসাজশের মাধ্যমে ৯ কোটি ৮৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন।
এ ছাড়া, শাজাহান খানের মেয়ে ঐশী খানের নামে জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত ১ কোটি ৭১ লাখ ১৮ হাজার ৯২ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। দুদক ধারণা করছে, তাঁর নামে ও বেনামে আরও অবৈধ সম্পদ থাকতে পারে। এ কারণে ঐশী খানকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ জারি করা হয়েছে।
দুদক জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তদন্ত করা হবে। প্রয়োজনে তাঁদের বিরুদ্ধে আরও মামলার সম্ভাবনাও রয়েছে।
এ বিষয়ে শাজাহান খান বা তাঁর পরিবারের কোনো সদস্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
দুদকের এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক অঙ্গন এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। দুর্নীতি দমনে দুদকের এই ধরনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও, অনেকে মনে করছেন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন নিশ্চিত করা জরুরি।