রাজশাহী-৪ সাবেক এমপি আবুল কালাম জামিনে মুক্তির পর ফের আটক

টুইট ডেস্ক: রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ জামিনে মুক্তির পর রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের বাইরে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কর্তৃক আবারো আটক হয়েছেন।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে আবুল কালাম আজাদ রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। মুক্তির পর কারাফটকে তাকে আটক করা হয়।

জামিন পাওয়ার খবর জানাজানি হওয়ার পর বিকেল থেকেই কারাগারের বাইরের সড়কে ছাত্রদল, যুবদল, মহিলা দল ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। এ সময় কিছু নেতাকর্মীর হাতে লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেলও দেখা যায়।

ডিবি পুলিশের সদস্যরা তাকে কারাগারের প্রধান ফটক থেকে বের হয়ে বাহিরে অপেক্ষমাণ পুলিশের গাড়িতে তুলে নেয়। এসময় নেতাকর্মীরা গাড়ি আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেন, তবে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়ে দ্রুত গাড়িটি ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়।

কারাগারের ডেপুটি জেলার জানান, আবুল কালাম আজাদ বাগমারা থানায় দায়ের হওয়া দুটি মামলায় কারাগারে ছিলেন। হাইকোর্টে জামিন পাওয়ার পর তার মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে তার বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলার তথ্য কারাগারের কর্তৃপক্ষের কাছে ছিল না।

এছাড়া, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২১ জানুয়ারি, আবুল কালাম আজাদসহ চারজনের বিরুদ্ধে বাগমারা পৌরসভার মেয়র থাকাকালীন সময়ে ঠিকাদারকে অতিরিক্ত ৩৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৬১ টাকা বিল পরিশোধ করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিল। তবে, এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।

এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগে আবুল কালাম আজাদ বাগমারা পৌরসভার মেয়র ছিলেন। ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন।

৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান এবং পরবর্তীতে ২ অক্টোবর রাজধানীর মিরপুর শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে র‌্যাবের অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আরিফ জানিয়েছেন, ‘কারাগারের সামনে থেকে সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। তাকে কোন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে, তা পরে জানানো হবে।’

এদিকে, কারাগার সূত্রে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে বাগমারা থানায় দুটি মামলা দায়ের ছিল, যেগুলোর কারণে তিনি কারাগারে ছিলেন। তবে নতুন কোনো মামলায় তার গ্রেপ্তার হওয়ার তথ্য নেই।