রাজশাহীতে চায়না নববর্ষ উদযাপন করলো আদিবাসী সম্প্রদায়
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঐতিহ্যবাহী নাচ-গানের মধ্য দিয়ে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কান্তপাশা গ্রামে চায়না নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে। বুধবার সকালে আয়োজিত এই উৎসবে আদিবাসী পল্লীর নারী, পুরুষ ও শিশুরা প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ করে।
পরিবর্তন রাজশাহী, কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (ক্লিন) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিডব্লিউজিইডি)-এর উদ্যোগে এই চীনা নববর্ষ উদযাপন করা হয়। ২০২৫ সালের এই বিশেষ আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদার করা এবং টেকসই বাংলাদেশের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ প্রচারের ধারণা প্রচার করা।
“নবায়ন, সমৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়ন” প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠান জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে। চীনের নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তিতে অগ্রগামী ভূমিকা বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করার সুযোগ তৈরি করছে।
অনুষ্ঠানে ছিল মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, ঐতিহ্যবাহী উৎসব উদযাপন এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে আলোচনা। বক্তারা টেকসই উন্নয়নে সবুজ বিনিয়োগ প্রচারের জন্য চীনের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
জাতীয় আদিবাসি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিমল চন্দ্র রাজওয়ার, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ছোটন সরদার এবং জেলা সাধারণ সম্পাদক সুসেন কুমার শ্যামদুয়ার এই উৎসবে বক্তব্য রাখেন। পরিবর্তন রাজশাহীর পরিচালক রাশেদ রিপন, পংকজ কর্মকার এবং সোমা হাসানও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এই অনুষ্ঠান রাজশাহীর সাংস্কৃতিক বিনিময়কে উৎসাহিত করার পাশাপাশি জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির সমাধান গ্রহণের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে। চীনা নববর্ষ আশা ও নবায়নের প্রতীক, যা টেকসই ভবিষ্যত নির্মাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীনের মতো বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অর্থবহ উন্নয়নের পথ খুলে দিতে পারে।
রাজশাহীর এই অনন্য আয়োজন চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় টেকসই উন্নয়নের বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে।