প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটিতে ৩০ কোটি টাকা লুটপাট, চরম সংকটে বিশ্ববিদ্যালয়

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে দুর্নীতি

  • নিয়ম ভেঙে ৮.৭২ কোটি টাকার কাজ ঠিকাদারকে দেওয়া হয়, যেখানে দরপত্র আহ্বান করা হয়নি।
  • ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩: বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে ৮.৭২ কোটি টাকার চুক্তি হয়।
  • ১৫ মার্চ ২০২৪: কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
  • চুক্তির পরপরই ঠিকাদারকে ১ কোটি টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়।
  • এফডিআর ভেঙে ৪ কোটি টাকা লোপাট করা হয়।
  • কিছু কাজ করেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পালিয়ে যায়, তবু চুক্তি বাতিল হয়নি।

টুইট ডেস্ক: অর্থ লুটপাটের কারণে চরম সংকটে পড়েছে বেসরকারি প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়টির ফিক্সড ডিপোজিট (এফডিআর) ভেঙে ও নানা আর্থিক অনিয়মের মাধ্যমে অন্তত ৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা প্রতিবেদন, আর্থিক বিবরণী এবং সংশ্লিষ্ট হিসাব বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রায় ১৫ কোটি টাকা সরানো হয়েছে এফডিআর ভেঙে, পাশাপাশি রিজার্ভ ফান্ড ও নিয়মিত তহবিল থেকেও অর্থ লোপাট হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ লুটপাটে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তিরাই জড়িত। বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল রক্ষার দায়িত্বে থাকা কোষাধ্যক্ষ ড. ইফফাত জাহানই এই দুর্নীতির মূল হোতা। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য, অর্থ বিভাগের পরিচালক ও প্রশাসনের একদল কর্মকর্তা গাড়ি ক্রয়, মেইনটেন্যান্স, ক্যাফেটেরিয়া ভাড়া, সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ, গবেষণাগার সামগ্রী ক্রয়সহ বিভিন্ন খাতে জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

বিপুল ঋণের চাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন পাচ্ছেন না, ফলে চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন। অন্যদিকে, শিক্ষার্থীরা পাঠক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন।