বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া নির্মাণে জমি অধিগ্রহণের অনুমোদন দিল পশ্চিমবঙ্গ

বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া নির্মাণে জমি অধিগ্রহণের অনুমোদন দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার

বিশ্ব ডেস্ক: বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণে অনুমতি দিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার। নদীয়া জেলার করিমপুর এলাকায় এই বেড়া নির্মাণ করা হবে।

পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস মন্ত্রিসভা গত সোমবার এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সম্প্রতি সীমান্তে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই অনুমোদন দেওয়া হলো।

মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জমি অধিগ্রহণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা কমিটিকে। প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহ করবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জমি অধিগ্রহণের পর তা ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

বিগত কয়েক বছর ধরে বিজেপি তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে জমি অধিগ্রহণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করে আসছে। তাদের দাবি, জমি অধিগ্রহণে বিলম্ব করে তৃণমূল ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করেছে। সোমবার মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পর বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস কোনো বড় কৃতিত্ব দেখায়নি। এ কাজ আগেই করা উচিত ছিল। এর বিলম্বের ফলে জাতীয় নিরাপত্তায় ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে।”

অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস অতীতে বিএসএফের বিরুদ্ধে স্থানীয় গ্রামবাসীদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিল। তারা আরও দাবি করেছিল, কেন্দ্রীয় সরকার বিএসএফের নামে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত জমি নিতে চাইছে। বিএসএফ এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও সীমান্তে বসবাসরত মানুষের মধ্যে এর ফলে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।

নদীয়া জেলায় মাদকের বাংকার উদ্ধারের পর সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া গত সপ্তাহে বিএসএফ ঘোষণা দেয় যে, ২২ থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তজুড়ে সতর্কতামূলক অভিযান পরিচালিত হবে। এই অভিযানে সীমান্ত এলাকায় শারীরিক কসরত এবং প্রতিরক্ষা কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও রাজনৈতিক মহলে এটি নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছে। তৃণমূল সরকারের এই পদক্ষেপ বিরোধী শিবিরে আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।