ভারতে বাংলাদেশি তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ছাত্রশিবিরের নিন্দা
টুইট ডেস্ক: ভারতের বেঙ্গালুরুতে এক বাংলাদেশি তরুণীকে ধর্ষণ ও নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনটি এক যৌথ বিবৃতিতে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এক বিবৃতিতে বলেন, “ভারতের মতো বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে একজন বাংলাদেশি নারীর প্রতি এমন অমানবিক আচরণ গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। বৈধভাবে বসবাসরত যে কোনো নাগরিকের নিরাপত্তা দেওয়া সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু ভারত সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।”
গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, নিহত তরুণী বেঙ্গালুরুর একটি অ্যাপার্টমেন্টে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। তার স্বামী ব্রুহাত বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকার পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তারা তিন সন্তানসহ সেখানে বসবাস করতেন।
ছাত্রশিবিরের নেতারা বলেন, “বারবার দেখা যাচ্ছে, ভারতে বাংলাদেশি নাগরিকরা নির্যাতন ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এ ধরনের ঘটনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী। এই নৃশংস ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”
কূটনৈতিক চাপের আহ্বান
ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ নিহত নারীর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডের সুবিচার নিশ্চিত করতে কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করতে হবে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে তা দুই দেশের সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”
এই মর্মান্তিক ঘটনায় ভারতীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার তীব্র সমালোচনা করে নেতারা বলেন, মানবিক ও আইনগত দিক থেকে প্রতিটি দেশের জন্য নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
বাংলাদেশ সরকার যেন এই বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করে, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।