খালেদা জিয়া ফিরলেন ছেলের বাসায়
জিয়ার চিকিৎসা আপাতত বাসায় চালানোর সিদ্ধান্ত।
টুইট ডেস্ক: চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ফিরেছেন। উন্নত চিকিৎসায় তার স্বাস্থ্যের যথেষ্ট উন্নতি হওয়ায় ডাক্তাররা আপাতত তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
শুক্রবার লন্ডনের স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় এবং বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৩টায় খালেদা জিয়াকে তার বড় ছেলে তারেক রহমান বাসায় নিয়ে যান।
এর আগে, তারেক রহমান লন্ডনের স্থানীয় সময় বাদ এশা ব্রিকলেন মসজিদে প্রয়াত ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর জন্য আয়োজিত দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, প্রতিদিনই তার নতুন করে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। শুক্রবার রাতের মধ্যে সব রিপোর্ট হাতে আসবে এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে।
তিনি আরও জানান, খালেদা জিয়া প্রফেসর পেট্রিক কেনেডি ও জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন। তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। চিকিৎসকরা তার বয়স এবং আগে জেলে থাকার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছেন। আগে যদি তাকে বিদেশে নিয়ে আসা যেত, তবে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট দ্রুত সম্পন্ন করা যেত।
ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার লিভার, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, প্রেশার, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসসহ একাধিক জটিলতার জন্য ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা চলছে। আপাতত এই চিকিৎসা অব্যাহত থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস হসপিটালের মেডিকেল টিমের সহযোগিতায় এক ছাদের নিচে (ওয়ান-স্টপ সার্ভিস) চিকিৎসা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
লন্ডনের ক্লিনিক থেকে খালেদা জিয়ার ছুটি, ফিরলেন বাসায়।
লন্ডন দ্য ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খালেদা জিয়ার জন্য প্রতিদিন বাসা থেকে খাবার সরবরাহ করা হতো। তার ছেলে তারেক রহমান, পূত্রবধূ জুবাইদা রহমান, নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি এবং দুই কন্যা জাফিয়া ও জাহিয়া রহমান তাকে নিয়মিত সেবা ও দেখভাল করেছেন। এ ছাড়া যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এমএ মালেক এবং সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ প্রতিদিন হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি বুধবার উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া লন্ডন যান। সেদিন হিথরো বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তাকে বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতাল ‘দ্য ক্লিনিক’-এ ভর্তি করা হয়।
খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা: বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বিএনপি চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বর্তমানে গুরুতর শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। লিভার, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ও উচ্চ রক্তচাপসহ একাধিক জটিল রোগে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বর্তমানে ওষুধের মাধ্যমে চলছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই জটিল শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উন্নত চিকিৎসা অপরিহার্য হলেও আপাতত ওষুধের মাধ্যমেই তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
চিকিৎসকদের মতামত
চিকিৎসক ডা. জাহিদ জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় বর্তমানে সব চিকিৎসক একমত। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস হাসপাতালের মেডিকেল টিমের সহযোগিতায় মেডিকেল বোর্ড একটি পরিকল্পনা নিয়েছে, যার মাধ্যমে এক ছাদের নিচে (ওয়ান-স্টপ সার্ভিস) তাঁর চিকিৎসা সহজতর করা হবে।
লন্ডনের বিশেষায়িত হাসপাতাল ‘দ্য ক্লিনিক’-এ চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার পাশে প্রতিনিয়ত রয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ছেলে তারেক রহমান, পূত্রবধূ জুবাইদা রহমান এবং নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান নিয়মিত তাঁর সেবা ও দেখভাল করছেন। প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি ও তাঁর দুই মেয়ে জাফিয়া এবং জাহিয়া রহমানও নিয়মিত হাসপাতালে উপস্থিত থাকছেন।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার জন্য প্রতিদিন বাসা থেকে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপির সভাপতি এমএ মালেক এবং সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদও নিয়মিত তাঁর পাশে থাকছেন।
গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়া হয়। সেদিন হিথরো বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তাঁকে ‘দ্য ক্লিনিক’-এ ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভবিষ্যতের করণীয়
১. উন্নত চিকিৎসার জন্য আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ আরও জোরদার করা।
২. একক চিকিৎসা প্ল্যাটফর্মে (ওয়ান-স্টপ সার্ভিস) তাঁর চিকিৎসা নিশ্চিত করা।
৩. পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে মানসিক সাপোর্ট বৃদ্ধি করা।
খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সুস্থতা নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি চিকিৎসকদের সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। জাতি আশা করে, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন।