হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি আবু জাহিরের সব সম্পদ জব্দের নির্দেশ
টুইট ডেস্ক: হবিগঞ্জ–৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবু জাহির ও তাঁর পরিবারের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সব সম্পদ জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের ভিত্তিতে বুধবার (২২ জানুয়ারি) হবিগঞ্জের সিনিয়র স্পেশাল জজ জেসমিন আরা বেগম এ আদেশ দেন।
দুদক আদালতকে জানিয়েছে, সাবেক এমপি আবু জাহির এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে সাড়ে ১০ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধান চলাকালে এই সম্পদ বিক্রি বা হস্তান্তরের আশঙ্কায় তা জব্দের আবেদন জানানো হয়। এগুলো হলো,
গুলশানে অ্যাপার্টমেন্ট এবং হবিগঞ্জ শহরে টাউন হল এলাকার বাসাসহ নয়টি স্থাবর সম্পত্তি।
স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে এবং ভাইয়ের নামে কোটি টাকার সম্পত্তি।
ব্যক্তিগত গাড়ি ও বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ।
শেয়ারবাজার এবং বিমায় উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ।
দুদক সূত্রে জানা যায়, গত ১৫-১৬ বছরে আবু জাহির এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা জ্ঞাত আয়ের বাইরে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতা, চাঁদাবাজি, সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
দুদক হবিগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এরশাদ মিয়া জানিয়েছেন, এসব অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। তদন্তে আরও সম্পদের খোঁজ পাওয়া যেতে পারে। অনুসন্ধান শেষে নিয়মিত মামলা করা হবে।
দুদকের মতে, আবু জাহির ও তাঁর পরিবার সম্পদ বিক্রি বা স্থানান্তরের অপচেষ্টা করছেন। ফলে রাষ্ট্রীয় ক্ষতির আশঙ্কায় জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগ দিয়ে সম্পদ জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের সময় আবু জাহিরের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ওঠে।
ছাত্র-জনতার অবরোধের মুখে সেনাবাহিনী আবু জাহিরসহ কয়েকজনকে উদ্ধার করে।
এরপর থেকে আবু জাহির ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা জনসমক্ষে আসেননি।
আদালতের এ নির্দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকের দৃঢ় অবস্থানের প্রতিফলন দেখা গেছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত অনুসন্ধান ও মামলার পর আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।