হাসিনার বিদ্বেষমূলক বার্তা প্রচারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে: চিফ প্রসিকিউটর
টুইট ডেস্ক : আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য বা “হেট স্পিচ” প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
তিনি সতর্ক করেছেন যে, কেউ যদি এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেন, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) বিদেশের মাটিতে বসে বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য রাখছেন, যা সরকার, ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া এবং মামলার সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারে। এ ধরনের বক্তব্য বিচার প্রক্রিয়া বানচালের অপচেষ্টার অংশ।’
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, ‘আইনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কেউ যদি এ ধরনের বক্তব্য প্রচার করেন এবং তা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি গণমাধ্যমকে সতর্ক করে বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিদ্বেষমূলক বার্তা প্রচার করা থেকে বিরত থাকা জরুরি। এ ধরনের বক্তব্য সাক্ষীদের মনে ভীতি সৃষ্টি করতে পারে এবং তাদের সাক্ষ্য দেওয়ার আগ্রহে প্রভাব ফেলতে পারে, যা সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ার জন্য অগ্রহণযোগ্য।
চিফ প্রসিকিউটর জুলাই-আগস্ট গণহত্যার শিকার ও আহত ব্যক্তিদের মর্যাদা রক্ষা এবং ন্যায়বিচার প্রক্রিয়া সুরক্ষিত রাখতে গণমাধ্যম ও জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন।
গত ৫ ডিসেম্বর, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার বন্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-কে নির্দেশ দেয় যেসব বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে সেগুলো অপসারণ করতে।
চিফ প্রসিকিউটর জানান, শুধুমাত্র এমন বক্তব্যগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে যা বিদ্বেষ ছড়ায় এবং বিচার প্রক্রিয়া বা তদন্ত প্রভাবিত করতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সম্প্রতি তার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথোপকথনের কিছু রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হয়েছে, যেখানে দেশে ফিরে ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা উঠে আসে।
এ ধরনের বক্তব্য বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার পাশাপাশি সাক্ষীদের মনে ভীতি সৃষ্টি করতে পারে বলে ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এ কারণেই এ বিষয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।