শেখ হাসিনার গোপন কারাগারে শিশুদের বন্দি রাখার চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
গোপন কারাগারে শিশুদের বন্দি রাখার অভিযোগ
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু
টুইট ডেস্ক: ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে গোপন কারাগারে শিশুদের বন্দি রাখার চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। এই শিশুদের মায়ের দুধ পান থেকেও বঞ্চিত করা হতো। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি ২০২৫) এক প্রতিবেদনে এ ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তুলে ধরেছে।
টিআরটি ওয়ার্ল্ডের অনুসন্ধান অনুযায়ী, শেখ হাসিনার শাসনামলে পরিচালিত গোপন আটক কেন্দ্রে শত শত মানুষকে বন্দি রাখা হয়, যার মধ্যে অন্তত অর্ধ ডজন শিশু তাদের মায়েদের সঙ্গে মাসের পর মাস বন্দি ছিল। তদন্তে উঠে এসেছে, শিশুদের জোর করে মায়েদের থেকে আলাদা করা হতো এবং তাদের কান্নার মধ্যেও মায়ের দুধ পান করতে দেওয়া হতো না।
বাংলাদেশে গুম নিয়ে কাজ করা গুম কমিশন জানায়, ২০২৩ সালেও এমন ঘটনার নজির পাওয়া গেছে। কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, একাধিক নারী তাদের সন্তানসহ আটক হন এবং পরে নিখোঁজ হয়ে যান। এক প্রত্যক্ষদর্শী তদন্তকারীদের সেই আটক কেন্দ্রের অবস্থান দেখিয়েছেন, যেখানে তাকে শৈশবে তার মায়ের সঙ্গে বন্দি রাখা হয়েছিল।
গুম কমিশনের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন জানান, ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নির্যাতনকারী বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “নির্যাতনকারী অফিসারদের সঠিক পরিচয় না পাওয়া গেলেও তাদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বাহিনীগুলোকে শনাক্ত করা হবে।”
গুম কমিশনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, শেখ হাসিনার শাসনামলে নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক অপহৃত প্রায় ২০০ মানুষ এখনো নিখোঁজ। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সরাসরি শেখ হাসিনার নাম উঠে এসেছে।
২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারান এবং ভারতে পালিয়ে যান।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধসহ বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড