যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে ‘জরুরি অবস্থা’ জারি করলেন ট্রাম্প
টুইট ডেস্ক : ওভাল অফিসে ফিরেই বেশ কিছু নির্বাহী আদেশে সই করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসব আদেশের মধ্যে একটি হল যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা।
নির্বাহী আদেশ সই করার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “এটি একটি বিশাল সিদ্ধান্ত”।
একাধিক নির্বাহী আদেশে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার মধ্যে রয়েছে: যুক্তরাষ্ট্র প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসবে। ফেডারেল সরকারকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার নির্দেশ দেয়া।
এছাড়া, আরেকটি আদেশ জন্মসূত্রে আমেরিকার নাগরিকত্বের সংজ্ঞা সম্পর্কিত। বাইডেন আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২০২১ সালের ছয়ই জানুয়ারির ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আটক হওয়া প্রায় ১৫০০কে ক্ষমা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের দিনের প্রায় পুরোটা সময় তার সমর্থকরা ডিসি জেলের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনায় ভাষণ দিয়েছিলেন, তখন তিনি ঘোষণা করেন যে ওভাল হাউজে পৌঁছেই তিনি ছয়ই জানুয়ারির ঘটনার জন্য অভিযুক্তদের ক্ষমা করবেন।
সেসময় উপস্থিত জনতার মধ্য থেকে আনন্দধ্বনি শোনা যায়। একজন নারী চিৎকার করে বলছিলেন, ‘ফ্রিডম!’ বা (স্বাধীনতা)।
ক্যাপিটল হিল আক্রমণের জন্য জেলবন্দি ব্যক্তিদেরকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘রাজনৈতিক বন্দি’ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন এবং তিনি তাদেরকে ক্ষমা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
যদিও এটি পরিষ্কার নয় যে এই ক্ষমা কতদূর পর্যন্ত যাবে এবং দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদেরকেও এই ক্ষমার অন্তর্ভুক্ত করা হবে কীনা।
২০২১ সালের ছয়ই জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে হামলা চালায় ট্রাম্পের সমর্থক একদল মানুষ। ডোনাল্ড ট্রাম্পপন্থী বিক্ষোভকারীদের কংগ্রেস ভবনে ওই হামলার ঘটনায় অন্তত পাঁচ জন নিহত হয়েছিলেন।
ডেমক্র্যাটরা ওই হামলায় উস্কানি দেয়ার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের উদ্যোগ নিয়েছিলো। পরে সেনেটে দুই তৃতীয়াংশ ভোট না থাকায় ট্রাম্প শাস্তি থেকে রেহাই পেয়ে যান।
সোমবার শপথ গ্রহণের পর দীর্ঘ বক্তব্য দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে জানান, তার শাসনামল হবে শান্তিস্থাপন ও এককীকরণকারী হিসেবে। এছাড়া বিশ্বের যত যুদ্ধ আছে নিজেদের শক্তি ব্যবহার করে সেগুলো বন্ধ করবেন বলেও কথা দেন তিনি।