ট্রাম্পের দ্বিতীয় ইনিংস: নির্বাহী আদেশ বাতিল করে শুরুতেই চমক

ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন: বাইডেন যুগের নীতিতে বিপ্লবী বদল

বাইডেন আমলের সব নির্বাহী আদেশ বাতিল

বিশ্ব ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সোমবারের (২০ জানুয়ারি) এই শপথ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দ্বিতীয় মেয়াদে দেশটির রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসলেন তিনি।

বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পর বাইডেন আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেছেন।

ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনার মঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হিসেবে প্রথম ভাষণে তিনি বলেন, শিগগিরই বাইডেন আমলের সব নির্বাহী আদেশ বাতিল করবেন তিনি।

এর কিছুক্ষণ পরই তিনি যেসব নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তার মধ্যে শুরুতেই তিনি বাইডেন আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেন।

ট্রাম্পের শপথ: বাইডেন আমলের নির্বাহী আদেশ বাতিলের ঘোষণা ও বাস্তবায়ন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (২০ জানুয়ারি) ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত এই শপথ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় আসীন হলেন তিনি।

শপথ গ্রহণের পরই ডোনাল্ড ট্রাম্প বাইডেন আমলের বিভিন্ন নীতির কঠোর সমালোচনা করে তা বাতিলের ঘোষণা দেন। প্রথম ভাষণেই তিনি বলেন, “আমরা অতীতের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নেব এবং সেগুলোকে পরিবর্তন করব। বাইডেন আমলের সব নির্বাহী আদেশ বাতিল করা হবে।”

বিবিসি লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প শপথ নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই বাইডেন আমলে গৃহীত ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আদেশ ছিল প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনার নির্দেশ। একইসঙ্গে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং অভ্যন্তরীণ শিল্প ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ওপর নতুন আদেশে সই করেছেন তিনি।

স্থগিতাদেশে সই করার পর ট্রাম্প উল্লসিত জনতার উদ্দেশে সেটি তুলে ধরেন। এ সময় উপস্থিত জনগণ করতালিতে তা স্বাগত জানান।

এর আগে, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার ক্ষমতার শেষ সময়ে বেশ কিছু ব্যক্তিকে ক্ষমা করেছিলেন, যারা ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি ছিলেন। ট্রাম্প তার ভাষণে স্পষ্ট করেন যে, সেই ক্ষমাগুলো পর্যালোচনা করে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরু থেকেই কার্যকর এই পদক্ষেপ দেশটির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিচ্ছে। তার সমর্থকরা মনে করছেন, এসব সিদ্ধান্ত মার্কিন স্বার্থ রক্ষা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। তবে সমালোচকরা বলছেন, পরিবেশ ও আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক অবস্থানকে দুর্বল করতে পারে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর প্রথম ভাষণে দেশবাসীকে আশার বার্তা দেন। তিনি বলেন, “আজ থেকে আমেরিকার স্বর্ণযুগের শুরু হলো। আমাদের দেশ এখন সমৃদ্ধ হবে এবং সারা বিশ্বে আবার সম্মানিত হবে। আমরা প্রতিটি জাতির অহংকারের কারণ হব।”

ভাষণে ট্রাম্প তার ওপর হত্যাচেষ্টার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, “আমার বেঁচে থাকার একটি কারণ রয়েছে। আর তা হলো আমেরিকাকে আবারও মহান করা।” তার এই বক্তব্যে নির্বাচনী স্লোগান “মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন” এর প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত হয়।

ট্রাম্পের এই সাহসী বক্তব্য তার সমর্থকদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে এবং তার দ্বিতীয় মেয়াদে কার্যক্রমের প্রতি উৎসাহিত করেছে।

উৎস: বিবিসি লাইভ প্রতিবেদন