রক্ত ঝরবে, কিন্তু দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত থাকবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
টুইট ডেস্ক: বাংলাদেশের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখার বিষয়ে এক দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, “আমরা বেঁচে থাকতে আমাদের সীমান্তে কেউ আসতে পারবে না। রক্ত ঝরবে, কিন্তু দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত থাকবে।”
“রক্ত ঝরবে, কিন্তু দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত থাকবে।”
রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে জুডিশিয়াল সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সার্ভে ও সেটেলমেন্ট প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তার ভাষায়, “আগের সরকার কিছুটা ছাড় দিত, তবে বর্তমান সরকার অধিকার আদায়ে ছাড় দিচ্ছে না, যার ফলে সীমান্তে কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
তবে জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে এবং বিজিবি সবসময় সতর্ক রয়েছে।”
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফ ও ভারতীয় নাগরিকদের অনুপ্রবেশ, হামলা, ধান ও গাছ কাটা নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঘটনার সূত্রপাত জমির ধান ও গাছ কাটা নিয়ে। উভয়পক্ষের লোকজন আহত হয়েছেন, তবে কোনো বড় ধরনের ঘটনা ঘটেনি।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে ডিজি লেভেলের বৈঠক হবে, সেখানে সমাধান হবে বলে আশা করছি।” তিনি আরও বলেন, সীমান্তের কিছু জায়গায় দুই দেশের পার্টির মধ্যে যাওয়া-আসা হয়, যা একটি পুরনো সমস্যা, তবে তা দ্রুত সমাধান করা হবে।
স্বাধীনতার পর থেকে দুর্নীতি বাংলাদেশে অন্যতম প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি জানান, “দুর্নীতি না কমলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আমাদের পরিচয় দিয়ে কেউ যদি সুবিধা নিতে চায়, তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।”
তিনি সিভিল সার্ভিস কর্মীদের বিষয়ে বলেন, “চাকরি হারানোর ভয়ের কারণে অনেক সিভিল সার্ভিস কর্মী সেবায় অনীহা দেখান। যদি শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা হয়, তবে ক্যাডারদের মধ্যে রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি থাকবে না।”
জুলাই আন্দোলনে আহতদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এই আন্দোলনের ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করতে হবে।” তার মতে, যদি দেশে দুর্নীতি কমানো যায় এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা যায়, তবে বাংলাদেশের অগ্রগতি কোনো বাধায় পড়বে না।
স্বাস্থ্য ও আইনশৃঙ্খলা, সীমান্ত সুরক্ষা, দুর্নীতি দমন এবং কর্মসংস্থানের উন্নয়ন-এগুলি দেশের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক, যা বাস্তবায়িত হলে দেশের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে বলে মনে করেন মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।