বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচারে জড়িত ৭২টি ভারতীয় গণমাধ্যম

টুইট ডেস্ক: ২০২৪ সালে ভারতীয় গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশকে ঘিরে প্রায় ১৫০টি ভুয়া তথ্য প্রচারিত হয়েছে। এর মধ্যে ৭২টি ভারতীয় গণমাধ্যম ৩২টি ইস্যুতে মোট ১৩৭টি বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে তথ্য যাচাই সংস্থা রিউমর স্ক্যানার।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রিউমর স্ক্যানারের প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে আসে, ২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ঘিরে অপতথ্যের পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। বছরের প্রথম ছয় মাসে ১২টি অপতথ্য শনাক্ত হলেও আগস্টে এক মাসেই ৫৩টি বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারিত হয়।

ডিসেম্বরেও একই সংখ্যা (৫৩) অপতথ্য প্রচারিত হয়েছে, যা বাংলাদেশের সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার ইস্যুকে কেন্দ্র করে ছড়ানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয়দের প্রচারিত ১৪৮টি ভুয়া তথ্যের মধ্যে ১১৫টি মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ প্রচারিত হয়।

এর অধিকাংশই সাম্প্রদায়িক অপতথ্য, যা বাংলাদেশের সামাজিক স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

বাংলাদেশ নিয়ে ভুল তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে ভারতের বাংলা ভাষার স্যাটেলাইট চ্যানেল রিপাবলিক বাংলা, যা ৩২টি ঘটনার মধ্যে ১০টিতে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছে।

তালিকার পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে:
হিন্দুস্তান টাইমস, জি ২৪ ঘণ্টা, আজতক, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, মিন্ট, ইন্ডিয়া টুডে, টিভি নাইন এবং আরও কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় মাধ্যম।

ভারতীয় রাজনীতিবিদরাও এই অপতথ্য প্রচারে ভূমিকা রেখেছেন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী এবং অগ্নিমিত্রা পাল বিভিন্ন সময়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছেন।

ত্রিপুরা রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীও একাধিক ভুয়া তথ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।

এ ছাড়া বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন এবং কিছু ভারতীয় সাংবাদিক ও আইনজীবীও এই অপপ্রচারে যুক্ত ছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে।

রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদনে উঠে আসা তথ্যগুলো দুই দেশের সম্পর্ক ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকা এবং অপতথ্য মোকাবিলায় যৌথ প্রচেষ্টা অত্যন্ত জরুরি।