আন্দোলনে পিছু হটল এনবিআর, রেস্তোরাঁয় ভ্যাট পুনরায় ৫%

টুইট ডেস্ক: রেস্তোরাঁ খাতে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। একইভাবে মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের ভ্যাট ৭.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। তবে অর্থবছরের মাঝপথে এ হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র প্রতিবাদের মুখে এনবিআর পিছু হটতে বাধ্য হয়।

এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী নিশ্চিত করেন, “হোটেল ও রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট পুনরায় ৫ শতাংশ করা হয়েছে। আদেশটি আজই জারি হবে।” উল্লেখ্য, ৯ জানুয়ারি সরকারের পক্ষ থেকে শতাধিক পণ্য ও সেবায় আমদানি, উৎপাদন এবং সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল।

এই বাড়তি ভ্যাটের প্রতিবাদে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এরপর তারা সারাদেশে মানববন্ধনের ঘোষণা দেয়। এর অংশ হিসেবে ঢাকা জেলার প্রায় তিন হাজার রেস্তোরাঁ মালিক এনবিআর ভবনের সামনে মানববন্ধনে অংশ নেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করে।

সমিতির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন যে সরকার ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের জীবন-জীবিকা এবং সাধারণ জনগণের স্বার্থ বিবেচনায় আনেনি। এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।

বুধবার এনবিআর তাদের মূসক আইন ও বিধি শাখা থেকে ভ্যাট পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিয়ে সমিতির সভাপতিকে একটি চিঠি পাঠায়। তবে এতে স্পষ্ট কিছু উল্লেখ না থাকায় বৃহস্পতিবার পূর্বনির্ধারিত মানববন্ধন কর্মসূচি চালিয়ে যান রেস্তোরাঁ মালিক ও কর্মীরা।

মানববন্ধনের আগে এনবিআর ভ্যাট পুনরায় ৫ শতাংশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিলেও গেজেট প্রকাশ না হওয়ায় কর্মসূচি অব্যাহত থাকে।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের হাতে দেখা যায় বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, যেমন- ‘চমৎকার সংস্কার, গরিবের ভ্যাটে আমলাদের মহার্ঘ্য ভাতা’, ‘চুরির টাকা উদ্ধার কর, ভ্যাট বৈষম্য দূর কর’ এবং ‘আইএমএফের পরামর্শে ভ্যাট বৃদ্ধি করা চলবে না’।

রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, “আমরা এখনও গেজেট হাতে পাইনি, তবে মৌখিকভাবে সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত হয়েছি।”

তিনি আরও জানান, এনবিআরের ব্রিফিং শেষ হওয়ার পরেই তারা মূল বক্তব্য উপস্থাপন করবেন।