চাঁদাবাজ-ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ডিবির কঠোর অবস্থান

টুইট ডেস্ক: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক জানিয়েছেন, চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী বা যেকোনো অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, “ডিবি জনগণকে একটি শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশ উপহার দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

আমাদের অভিযান ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকবে এবং কোনো রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না।”

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি। অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছি।”

ডিবি জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে ২৭ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অস্ত্র উদ্ধার: খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি চায়নিজ পিস্তল, ৯ রাউন্ড গুলি, এবং ছয়টি রামদাসহ মো. নাসির উদ্দিন ও মো. ইমরান হোসেন নামক দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অপরদিকে, যাত্রাবাড়ী ও হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চিহ্নিত ছয় চাঁদাবাজকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে শাকিল, মো. বাবু, এবং মো. রাতুল ইসলাম নামে কুখ্যাত চাঁদাবাজরা রয়েছে। এছাড়া, মিরপুর, লালবাগ, মতিঝিল ও উত্তরা এলাকায় পৃথক অভিযানে ১০ জন পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ২৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এবং যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯০ কেজি গাঁজা এবং একটি কাভার্ডভ্যানসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এছাড়াও গাইবান্ধা ও নাটোর থেকে সাইবার অপরাধী দুইজন, রাফি সরকার এবং মাসুদ রানা, গ্রেফতার করা হয়েছে।

অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম বলেন, “অবৈধ কোনো কাজ করলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধীদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।” তিনি নগরবাসীকে অপরাধ সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। তার মতে, জনগণের সহযোগিতা ডিবি পুলিশকে কাজ করার অনুপ্রেরণা যোগাবে।

ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভুঁইয়া, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড সাপোর্ট সেন্টার-দক্ষিণ) সৈয়দ হারুন অর রশীদ বিপিএম সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।

সূত্র: ডিএমপি প্রেস ব্রিফিং, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫