গৃহকর্মীদের আইনি স্বীকৃতিসহ ১১ দফা সুপারিশ ও প্রস্তাবনা শ্রম কমিশনে
টুইট ডেস্ক: জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়ন (এনডিডাব্লিউডাব্লিউইউ) গৃহকর্মীদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্তকরণ, গৃহশ্রমিকদের স্বীকৃতি প্রদান, আবাসন ব্যবস্থা, সামাজিক সুরক্ষায় পেনশন সুবিধা এবং পৃথক নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠনসহ ১১ দফা সুপারিশ ও প্রস্তাবনা দিয়েছে।
রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে বিজয় নগরের শ্রম ভবনে এনডিডাব্লিউডাব্লিউইউ-এর নেতারা এক মতবিনিময় সভায় শ্রম সংস্কার কমিশনে কাছে লিখিতভাবে এই ১১ দফা সুপারিশ ও প্রস্তাবনা জমা দেন।
কমিশন প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন ও সাকিল আখতার চৌধুরী, ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা আবুল হোসাইন ও সভাপতি মমতাজ বেগম, সাধারণ সম্পাদক মুর্শিদা আখতার, সাবেক সভাপতি শাহানুর বেগম ও মাহানুর বেগম প্রমুখ।
কমিশন প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, শ্রম সংস্কার কমিশন গঠনের পর থেকে রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার বাইরে প্রায় দুই শতাধিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ৪০টি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কমিশনের মূল লক্ষ্য হলো, প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের সব শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা। এবং শ্রমজীবী মানুষের জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।
সুলতান উদ্দিন আহমেদ আরোও বলেন, গৃহশ্রমিকের নিয়োগপত্র ও মাতৃত্বকালীন ছুটির একটা নীতি করা অত্যন্ত জরুরি। গৃহকর্মীদের সমস্যা সমাধানে সবার মতামতের ভিত্তিতেই কমিশন প্রস্তাবনা ও সুপারিশ জমা দেবে।
তিনি আরও জানান, মধ্য ফেব্রুয়ারির মধ্যে শ্রম সংস্কার কমিশন সবার মতামত সংগ্রহ করে একটি সুপারিশমালা প্রণয়ন করতে প্রস্তুত। এই সুপারিশমালা শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে।
মতবিনিময় সভায় এনডিডাব্লিউডাব্লিউইউ নেতারা বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে প্রায় ২০/২২ লাখ গৃহকর্মী রয়েছে। তাদের শ্রম আইনের আওতায় এনে গৃহশ্রমিকের অধিকার দিতে হবে। গৃহকর্মীদের সংগঠিত ও অধিকার আদায়ে আইনগত সহায়তা প্রদানে শ্রম আইনে গৃহকর্মীদের অন্তর্ভুক্তি জরুরি। এছাড়া পৃথক নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন, গৃহশ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষায় পেনশন ও আবাসন সুবিধাসহ ১১ দফা প্রস্তাবনা ও সুপারিশ নিয়ে নেতারা আলোচনা করেন।