রাজশাহী মেডিকেলে তিনগুণ রোগী
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেকে) ডেঙ্গু, সর্দি কাশি, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ধারণক্ষমতার চেয়ে তিনগুণ রোগী ভর্তি হয়েছেন। এতে জনবল সংকটে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। এছাড়া পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় বাধ্য হয়ে রোগীদের থাকতে হচ্ছে মেঝেতে। তবে অচিরেই শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর আশ্বাস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
রোগীর স্বজনরা জানান, বিভাগীয় শহর হওয়ায় সরকারি এই হাসপাতালে বরাবরই রোগীর চাপ বেশি থাকে। তবে মাসখানেক ধরে হাসপাতালে ধারণক্ষমতার চেয়ে তিনগুণ রোগী বেশি ভর্তি থাকছেন। এদের মধ্যে ডেঙ্গুজ্বর, সর্দি কাশি, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। কিন্তু হাসপাতালে শয্যা সংকটের পাশাপাশি পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ইউনিট প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. হাসান তারিক জানান, বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা এক হাজার ২০০। কিন্তু হাসপাতালটিতে গড়ে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন হাজার রোগী চিকিৎসা নেন। এ অবস্থায় রোগীদের বাড়তি চাপ ও চিকিৎসক সংকটের কারণে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদ বলেন, আমাদের হাসপাতালে এখন এক হাজার ২০০টি শয্যা রয়েছে। কিন্তু রোগী থাকেন এর তিনগুণ। শয্যা বাড়ানো প্রয়োজন।
তিনি আরও জানান, শয্যা বাড়ানোর মতো পর্যাপ্ত জায়গা এবং ভবন তাদের রয়েছে। হাসপাতালের মিডল ব্লকের ভবনটি এখন পাঁচতলা। সেটি ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করে ১০ তলা পর্যন্ত করা সম্ভব। এই ভবনেই অনেক শয্যা বাড়ানো যাবে। এই জন্য ভবনের কাজটা আগে করতে হবে।
মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটি প্রায় ৯০ একর জমির ওপর অবস্থিত। ৫৩০ শয্যা নিয়ে হাসপাতালটি ১৯৬৫ সালের এপ্রিল মাসে চালু হয়।