ছাত্র আন্দোলনে আ’হতদের ১০০ জন পুলিশে চাকরি পাচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
টুইট ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের মধ্য থেকে কিছু সংখ্যককে পুলিশের চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে সিআইডির প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অনেকে নিহত এবং আহত হয়েছে। যারা আহত হয়েছেন তাদের কর্মসংস্থানের একটা ব্যবস্থা কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আহতদের পুলিশে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপাতত ১০০ জনকে দিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি, পরবর্তী সময়ে আমরা এই সংখ্যাটা আরও বাড়াব।
তিনি বলেন, আপাতত পুলিশ বিভাগ দিয়ে শুরু করছি, পরবর্তী সময়ে মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সব ডিপার্টমেন্টে এটা করা হবে।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ট্রাফিকের একটা সমস্যা রয়ে গেছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আমরা এক হাজার ছাত্রকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে প্রপোজাল পাঠিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত ৪০০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সঙ্গে ট্রাফিকিংয়ের বিষয়টা কেমন হবে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারা যেন পড়াশোনা ঠিক রাখতে পারে সেজন্য তাদের আমরা সময়টা কম দিয়েছি। তারা যেন পড়াশোনাও করতে পারে এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও কাজ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করেছি। একটা সম্মাননিও দেওয়া হচ্ছে। রাস্তায় তারা ২-৩ ঘণ্টা কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আরও একটি প্রপোজাল পাঠিয়েছিলাম যে বিভিন্ন বাহিনীতে যারা অবসরে গিয়েছেন তাদের নিয়োগ দিয়ে ট্রাফিক শৃঙ্খলায় নিয়োজিত করা। তবে অবসরপ্রাপ্তরা এই বিষয়ে রেসপন্স খুব কম দিয়েছেন। আমি ভেবেছিলাম তারা অনেকে আসতে চাইবে, কিন্তু ওই রকম সংখ্যা আমরা পাইনি। তবে আমরা আপাতত ৫০-৬০ জনের মতো পেয়েছি। তবে চেয়েছিলাম অন্তত ৫০০ জন দিয়ে শুরু করি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকারের আমলে সব থেকে বড় সমস্যা ছিল মানিলন্ডারিং। এটা নিয়ে আমি সিআইডি প্রধানকে ইন্সট্রাকশন দিয়েছি। বলেছি, দ্রুত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ চুরির ঘটনার প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য।