৫৯ বছর পরও মোসাদ সদস্যের দে’হবশেষ উদ্ধারে মরিয়া ইসরায়েল

টুইট ডেস্ক: ১৯৬৫ সালে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয় ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা, মোসাদের এক সদস্যকে। আসাদ সরকারের পতনের পর এবার সেই সদস্যের দেহবশেষ পেতে আবারও চেষ্টা চালাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিষ ফোঁড়া খ্যাত ইসরায়েল।

মোসাদের ওই সদস্যের প্রকৃত নাম এলি কোহেন হলেও ছদ্যবেশে ঢুকেছিলেন সিরিয়ার রাজধানীতে। ১৯৬২ সালে শহরে ঢুকেই বিলাসবহুল জমকালো পার্টি দিয়ে জিতে নেন মানুষের হৃদয়। পৌঁছে যান ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের কাছাকাছি। মূলত এভাবেই তিনি নিজের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের পরিকল্পনা এঁটেছিলেন।

তবে শেষ রক্ষা হয়নি। মাত্র ৩ বছরের মাথায় ধরা পড়েন এলি। এরপর দামেস্কের মারজেহ স্কয়ারে প্রকাশ্যে তাকে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। এলিকে হত্যার পর সিরিয়ার কোথায় সমাধিস্থ করা হয়েছে তা কখনও প্রকাশ করা হয়নি।

কিন্তু এতো বছর কেন হঠাৎ এই গোয়েন্দা সদস্যের দেহবশেষ ফিরে পেতে চাচ্ছে ইসরায়েল? জানা যায়, মোসাদের অত্যন্ত চৌকস সদস্যদের একজন ছিলেন এলি কোহেন। ১৯৪৮ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করেছিলেন তিনি।

১৯২৪ সালে মিশরের আলেক্সান্দ্রিয়ার এক ইহুদি পরিবারে জন্ম নেয়া কোহেন ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর অভিবাসী হিসেবে সেখানে চলে যান। এরপর দেশটির সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা দফতরে কাজ করে ১৯৬০ সালে যোগ দেন মোসাদে।

মোসাদে যোগ দিয়ে গুপ্তচরবৃত্তির উদ্দেশ্যে নাম বদলে হন কামাল আমিন থাবেত। এরপর ব্যবসায়ী সেজে ঢোকেন দামস্কে। কিন্তু তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তায় সিরীয় গোয়েন্দা সংস্থা ধরে ফেলে কোহেনের রেডিও সম্প্রচার। এরপর বিচারের মুখোমুখি করে ১৯৬৫ সালের মে মাসের ১৮ তারিখে কার্যকর করা হয় মৃত্যুদণ্ড।

বরাবরই এই গোয়েন্দা সদস্যের দেশবশেষ ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এসেছে সিরিয়া। এমনকি একাধিকবার বন্দি বিনিময়ের প্রলোভন দেয় ইসরায়েল। সবশেষ ২০১৮ সালে সিরিয়া থেকে কোহেনের ব্যবহৃত হাত ঘড়িটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় ইসরায়েল।