চীন প্লাস ওয়ান এর সুযোগে ব্রিটেনে রফতানি বাড়াতে সক্রিয় বাংলাদেশ
টুইট ডেস্ক: চীন প্লাস ওয়ানের সুযোগ ব্যবহার করে রফতানি পণ্যে বৈচিত্র্যকরণে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং এফবিসিসিআই সক্রিযভাবে কাজ করছে ব্রিটেনের বাজার ধরার লক্ষ্যে। বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের মধ্যে রোববার রাতে অনুষ্ঠিত এক সংলাপে এই আলোচনা হয়।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আমরা চীন প্লাস ওয়ানের সুযোগ ব্যবহার করে রফতানি পণ্যে বৈচিত্র্যকরণে কাজ করছি এবং চীনা বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের বিস্তার করতে চাই। এসময় তৈরি পোশাকের বাইরে কৃষিজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, ফুল ও ফল রফতানিতে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
চীনা প্লাস ওয়ান নীতির সুযোগ ব্যবহার করে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং এফবিসিসিআই ব্রিটেনে বাংলাদেশী পণ্য রফতানি বাড়াতে কাজ করছে।
বাংলাদেশ হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশ হাইকমিশন ও বেসরকারি খাতের উদ্যোগে ব্রিটেনে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ, যা ব্রিটেনে বাংলাদেশী পণ্য রফতানির দিক থেকে সর্বোচ্চ। এসময় কৃষিজাত পণ্য ও আনারস সহ বিভিন্ন ধরনের ফল রফতানির উপর জোর দেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার। বৈঠকে প্রশিক্ষিত নার্সসহ দক্ষ জনশক্তি রফতানি নিয়েও আলোচনা হয়।
রফতানি পণ্যে বৈচিত্র্যকরণে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, তারা বলেন, আমরা শুধু তৈরি পোশাক খাতে নির্ভরশীল হয়ে আছি, তবে বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনসহ বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রফতানি বৈচিত্র্যকরণের বিকল্প নেই।
রফতানির ৯১ শতাংশ এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। বাংলাদেশী পণ্য রফতানির দিক থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ হয়েছে ব্রিটেনে। চীনা প্লাস ওয়ান নীতির সুযোগ ব্যবহার করে রফতানি পণ্যে বৈচিত্র্যকরণে এফবিসিসিআই এবং বাংলাদেশ হাইকমিশন একসঙ্গে কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং ব্রিটেনের বাংলাদেশী হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম। এসময় তৈরি পোশাকের বাইরে কৃষিজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, ফুল ও ফল রফতানিতে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।