সীমান্ত পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

টুইট ডেস্ক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছে, সীমান্ত ও দেশবাসীকে জানাতে চাই, কোনো ভয়ের প্রয়োজন নেই। সীমান্ত সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “মায়ানমার সীমান্তের বাংলাদেশ অংশের সকল বিওপিতে জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য বাহিনীর জনবলও বাড়ানো হয়েছে। নাফ নদীতে টহল পরিচালনার তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং সীমান্ত এলাকায় গোয়েন্দা কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। বিজিবি রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা টহল দিচ্ছে। কোস্টগার্ড, আনসার, পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীও একইভাবে দায়িত্ব পালন করছে।”

তিনি জানান, মায়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধের পর আরাকান আর্মি ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে মংডু টাউনশিপ দখলের মাধ্যমে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ২৭১ কিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এছাড়া সীমান্তের ওপারে প্রায় গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে এবং বিভিন্ন সময়ে ভারী অস্ত্রের গোলা আমাদের সীমান্তে পতিত হচ্ছে।

“আমরা মায়ানমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছি এবং সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিভিন্ন সময়ে মায়ানমারের কিছু যুদ্ধাহত নাগরিকদের আমরা মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছি। তবে, পরিস্থিতির উন্নতি এবং সীমান্তের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমাদের বাহিনীর দক্ষতা ও সততা বাড়ানো হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সালে ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছিলাম এবং ২০২৪ সাল পর্যন্ত আরও ৫০-৬০ হাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অনুপ্রবেশ করেছে। তবে সব বাহিনী এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করা হবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব এবং এলাকাবাসীর সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। একই সঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক ফোরামে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।

বেলা ১১টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে টেকনাফ পৌঁছে সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন, যেখানে বিজিবি, কোস্টগার্ড, পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।