দক্ষিণ কোরিয়ায় যাত্রীবাহী বিমান বি’ধ্বস্ত, নি’হত বেড়ে ৬২

টুইট ডেস্ক : দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৮১ জন আরোহী নিয়ে অবতরণের সময় যাত্রীবাহী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬২ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মৃত্যু আরও বাড়তে পারে।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মাটি ছোঁয়ার ঠিক আগে রানওয়ের উপরেই বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারান পাইলট। দেওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মুহূর্তে তাতে আগুন ধরে যায়। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমকে উল্লেখ করে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬২ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

দক্ষিণ কোরিয়া রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ড থেকে আসা জেজু এয়ারের বিমানটি রোববার দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে এখন পর্যন্ত ৬২ জন নিহত হয়েছেন। বিমানটিতে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছয়জন ক্রু নিয়ে মোট ১৮১ জন আরোহী ছিলেন।

বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ আরোহীদের উদ্ধারে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত দু’জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমে শেয়ার করা ফুটেজে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর ধোঁয়া ও আগুন দেখা গেছে।

জেজু এয়ারের একজন মুখপাত্র বিস্তারিত না জানিয়ে বলেছেন, তারা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছেন। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ এখনো জানা যায়নি।

দুর্ঘটনার পর জরুরি বৈঠকে বসেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সর্বাত্মক উদ্ধার প্রচেষ্টার নির্দেশ দিয়েছে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার জরুরি বিভাগ দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে। মনে করা হচ্ছে, বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সেই কারণে রানওয়ের উপরে বিমানটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি পাইলট।

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজনৈতিক সংকট চলছে। গত শুক্রবার দেশটির ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হান ডাক সুকে পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে অভিশংসিত করা হয়। এই অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন চোই সং-মোক।