নৌকা থেকে ছিটকে গেলেন ৩ প্রতিমন্ত্রীসহ ৬৯ এমপি
টুইট ডেস্ক : একাদশ সংসদ নির্বাচন ও পরে উপনির্বাচনে জিতে এসেছেন, এমন ৬৯ জন সংসদ সদস্যকে এবার মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ। এদের মধ্যে চার জন নানা সময় মন্ত্রিসভায় ছিলেন। এখনও মন্ত্রিসভায় আছেন, এমন তিন জনও পাননি মনোনয়ন। এবার মোট ১০৫টি আসনে প্রার্থী বদল করেছে ক্ষমতাসীনরা। এর মধ্যে ৭৩ আসনে একেবারে নতুন মুখ।
এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো এক সংসদ সদস্যকেও বাদ দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল। অতীতে নানা সময় পূর্ণ মন্ত্রীর পদে থাকা দুই সংসদ সদস্যকেও এবার বিবেচনায় নেয়নি ক্ষমতাসীন দল। বাদ পড়েছেন পুলিশের সাবেক এক মহাপরিদর্শকও।
আগামী ৭ জানুয়ারির ভোটকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে রোববার। গত নির্বাচনে মহাজোটের শরিকদের ছাড় দেওয়া হয়েছিল, এমন আসনগুলোর মধ্যে কেবল দুটিতে প্রার্থী দেয়নি ক্ষমমতাসীন দল। বাকি সবগুলোতেই মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছে। শরিক ও অন্য দলগুলোকে ছাড় দেওয়ার যে আলোচনা আছে, সেটির জন্য এখনও সময় আছে।
আগামী ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় আছে। এরপর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগে আগেও সমর্থন জানানোর সুযোগ আছে। প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনেই আওয়ামী লীগ ৫০ থেকে ৭০ জন বা তার চেয়ে বেশি প্রার্থী পাল্টে থাকে। এবারও অনেকেই বাদ পড়তে যাচ্ছেন, এমন আলোচনা ছিল। গত পাঁচ বছর নানা ঘটনায় বিতর্কের কেন্দ্রে এসেছেন অনেকেই, কেউ কেউ নানা ঘটনায় দল ও নিজ এলাকায় অপাংক্তেয় হয়েছেন, দলের বিবেচনায় কারও কারও জনসমর্থন কমেছে।
একাধিক আসনে বর্তমান সংসদ সদস্যের বয়স ও স্বাস্থ্যগত বা অন্য কারণে বাদ পড়েছেন, কারও কারও মনোনয়নপত্র জমা দিলে তা বাদ পড়ার ঝুঁকিও ছিল। একাধিক আসনে বাবার জায়গায় ছেলেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, জনপ্রিয়তা, দক্ষতা ও যোগ্যতার মানদণ্ডে যারা এগিয়ে আছেন, তাদেরকেই মনোনয়ন দিয়েছে মনোনয়ন বোর্ড। শতাধিক প্রার্থী বদল এবং ৬৯ জন সংসদ সদস্যকে মনোনয়ন না দেওয়ার কারণ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিটি নির্বাচনেই মানদণ্ডটা নতুন করে যাচাই করা হয়। যার জন্য এই পরিবর্তন।
এবার সবচেয়ে বেশি ১৩ জন সংসদ সদস্য বাদ পড়েছেন ঢাকা বিভাগে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ জন বাদ পড়েছেন খুলনা বিভাগে। আর রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ জন করে, ময়মনসিংহ বিভাগে ৯ জন, সিলেট বিভাগে ৬ জন এবং বরিশাল বিভাগে বাদ পড়েছেন মোট তিন জন সংসদ সদস্য।
তিন প্রতিমন্ত্রী
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন কুড়িগ্রাম-৪ আসনে এবার নৌকা মার্কা পাননি। তার জায়গায় বিপ্লব হাসানকে বেছে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানও এবার খুলনা-৩ আসনে মনোনয়ন পাননি। তার জায়গায় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেনকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
ময়মনসিংহ-৫ আসনে গত নির্বাচনে জয় পাওয়া কে এম খালিদকেও এবার মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তার আসনে লড়বেন আব্দুল হাই আকন্দ। জামালপুর-৪ আসনের মুরাদ হাসানকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের পর দলীয় পদও হারিয়েছিলেন। চলতি বছর তাকে ক্ষমা করে দলের সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হলেও মনোনয়নের জন্য আর বিবেচনা করা হয়নি। তার আসনে লড়বেন মো. মাহবুবুর রহমান।
বাদের তালিকায় সাবেক মন্ত্রী
২০১২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে চাঁদপুর-১ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। আর জায়গায় দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদকে বেছে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
১৯৯৬ সাল থেকে ফরিদপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকেও পাল্টে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তিনি নবম সংসদ নির্বাচনের পর প্রথমে প্রবাসী কল্যাণ ও পরে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তবে গত সংসদ নির্বাচনের পর আর মন্ত্রিত্ব পাননি। তার আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হককে বেছে নেওয়া হয়েছে। জামালপুর-১ আসনে মনোনয়ন পাননি সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। সেখানে লড়বেন নূর মোহাম্মদ।
১৯৯১ সাল থেকে চট্টগ্রাম-১ আসনে নৌকা নিয়ে লড়ে আসা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনও আর ভোট করছেন না। তিনি গণপূর্ত মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন এক সময়। এই আসনে প্রার্থী করা হয়েছে ছেলে মাহাবুব উর রহমানকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে বাদ পড়েছেন সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম। এই আসনে লড়বেন মো. আবদুস সবুর।
সাবেক পুলিশ প্রধান নূর মোহাম্মদ একাদশ সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ আসন থেকে প্রার্থী হয়ে জিতে এসেছিলেন। তাকে পাল্টে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে সাবেক আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল কাহার আকন্দকে। ঢাকা-৭ আসনের হাজী মোহাম্মদ সেলিমকেও পাল্টে দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল। তার জায়গায় বেছে নেওয়া হয়েছে তার ছেলে মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম।
সবচেয়ে বেশি বাদ ঢাকা বিভাগে
এই বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ গাজীপুর, নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জে একটি করে আসনে প্রার্থী পাল্টানো হয়েছে।
টাঙ্গাইল-৮ আসনে জোয়াহেরুল ইসলামের জায়গায় অনুপম শাহজাহান জয়, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে নূর মোহাম্মদের জায়গায় আবদুল কাহার আকন্দ, মানিকগঞ্জ-১ আসনে নাইমুর রহমান দুর্জয়ের আসনে মো. আব্দুস সালাম, গাজীপুর-৩ আসনে ইকবাল হোসেনের জায়গায় রুমানা আলী, নরসিংদী-৩ আসনে জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহনের জায়গায় ফজলে রাব্বী খানকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
ফরিদপুরে প্রার্থী পাল্টেছে দুটি। ফরিদপুর-১ আসনে মঞ্জুর হোসেনের জায়গায় মো. আবদুর রহমান এবং ফরিদপুর-৩ আসনে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের জায়গায় লড়বেন শামীম হক।
ঢাকা মহানগরের ছয় জন এমপি বাদ পড়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা-৫ আসনে কাজী মনিরুল ইসলাম মনুর জায়গায় হারুনুর রশীদ মুন্না, ঢাকা-৭ আসনে হাজী সেলিমের জায়গায় মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম, ঢাকা-১০ আসনে মো. শফিউল ইসলামের জায়গায় ফেরদৌস আহমেদ, ঢাকা-১১ আসনে এ কে এম রহমতুল্লাহর জায়গায় মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন, ঢাকা-১৩ আসনে সাদেক খানের জায়গায় জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং ঢাকা-১৪ আসনে আগাখান মিন্টুর আসনে লড়বেন মো. মাইনুল হোসেন খান।
চট্টগ্রাম বিভাগে বাদ যারা
চট্টগ্রামে তিন জন এমপিকে বাদ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। চট্টগ্রাম-১ আসনে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের আসনে এবার লড়বেন তার ছেলে মাহাবুব উর রহমান। চট্টগ্রাম-৪ আসনে দিদারুল আলমের আসনে এস এম আল মামুন এবং চট্টগ্রাম-১২ আসনে সামশুল হক চৌধুরীর আসনে নৌকা পাচ্ছেন মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে এবাদুল করিমের আসনে ফয়জুর রহমান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে এ. বি. তাজুল ইসলামের আসনে বেছে নেওয়া হয়েছে মো. আবদুস সবুরকে।
চাঁদপুরেও আসন পাল্টেছে দুটি। এর মধ্যে চাঁদপুর-১ আসনে মহিউদ্দীন খান আলমগীরের জায়গায় সেলিম মাহমুদ, চাঁদপুর-২ আসনে মোঃ নুরুল আমিনের আসনে লড়বেন মোফাজ্জল মোফাজ্জল হোসাইন চৌধুরী মায়া।
এছাড়া কুমিল্লা-৮ আসনে নাছিমুল আলম চৌধুরীর আসনে আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিন, নোয়াখালী-৬ আসনে বেগম আয়েশা ফেরদাউসের জায়গায় তার স্বামী মোহাম্মদ আলী এবং কক্সবাজার-১ আসনে জাফর আলমের আসনে বেছে নেওয়া হয়েছে সালাহ উদ্দীন আহমদ।
রংপুর বিভাগে যারা বাদ
পঞ্চগড়-১ আসনে মজাহারুল হক প্রধানের জায়গায় মো. নাইমুজ্জামান ভুঁইয়া, ঠাকুরগাঁও-২ আসনে দবিরুল ইসলামের জায়গায় মাজহারুল ইসলাম, রংপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের কোষাধক্ষ্য এইচ এন আশিকুর রহমানের জায়গায় তার ছেলে রাশেক রহমান, কুড়িগ্রাম-৩ আসনে এম এ মতিনের জায়গায় সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, কুড়িগ্রাম-৪ আসনে জাকির হোসেনের জায়গায় বিপ্লব হাসান, গাইবান্ধা-৩ আসনে ইউনুস আলী সরকারের আসনে উম্মে কুলসুম স্মৃতি, গাইবান্ধা-৪ আসনে মনোয়ার হোসেন চৌধুরীর আসনে নৌকা নিয়ে লড়বেন আবুল কালাম আজাদ।
রাজশাহী বিভাগে বাদ যেসব এমপি
এই বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে বগুড়া-৫ আসনে হাবিবর রহমানের জায়গায় মজিবুর রহমান মজনুকে বেছে নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল। নওগাঁর ছয়টি আসনের মধ্যে দুটিতে প্রার্থী পাল্টেছে আওয়ামী লীগ। নওগাঁ-৩ আসনে ছলিম উদ্দীন তরফদারের জায়গায় সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এবং নওগাঁ-৪ আসনে মুহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিকের জায়গায় বেছে নেওয়া হয়েছে মো. নাহিদ মোর্শেদকে।
রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের পাঁচ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে মনোনয়ন পাননি তিন জনই। এরা হলেন, রাজশাহী-৩ আসনের আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী-৪ আসনের এনামুল হক ও রাজশাহী-৫ আসনের ডা. মনসুর রহমান। এই তিন আসনে নৌকা নিয়ে লড়বেন যথাক্রমে মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ, আবুল কালাম আজাদ ও আবদুল ওয়াদুদ দারা।
সিরাজগঞ্জের ছয় জন এমপির মধ্যে মনোনয়ন পাননি তিন জনই। সিরাজগঞ্জ-২ আসনে হাবিবে মিল্লাতের জায়গায় মোছা. জান্নাত আরা হেনরী, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে তানভীর ইমামের জায়গায় মো. শফিকুল ইসলাম এবং সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে মেরিনা জাহানের জায়গায় বেছে নেওয়া হয়েছে চয়ন ইসলামকে পাবনায় প্রার্থী পাল্টেছে একটিই। ৪ আসনে মোঃ নুরুজ্জামান বিশ্বাসের আসনে নৌকা পেয়েছেন গালিবুর রহমান শরীফ।
খুলনা বিভাগ বাদ যারা
মেহেরপুর-২ আসনে সাহিদুজ্জামান খোকনের আসনে আবু সালেদ মো. নাজমুল হক, ঝিনাইদহ-৩ আসনে শফিকুল আজম খানের আসনে মো. সালাহ উদ্দিন মিয়াজী পেয়েছেন মনোনয়ন।
যশোরের দুটি আসনে প্রার্থী পাল্টেছে আওয়ামী লীগ। যশোর-২ আসনে নাসির উদ্দিনের আসনে মো. তৌহিদুজজমান এবং যশোর-৪ আসনে রণজিত কুমার রায়ের আসনে লড়বেন এনামুল হক বাবুল। মাগুরা-১ আসনে সাইফুজ্জামান শিখরকে পাল্টে আওয়ামী লীগ নৌকা দিয়েছে সাকিব আল হাসানকে।
বাগেরহাট-৪ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এএইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ। ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মোঃ আমিরুল আলম মিলনকে প্রতীক দেবে না দল।
খুলনার ছয়টি আসনের মধ্যে প্রার্থী পাল্টেছে তিনটিতে। খুলনা-১ আসনে পঞ্চানন বিশ্বাসের জায়গায় ননী গোপাল মণ্ডল, খুলনা-৩ আসনে বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের আসনে এস এম কামাল হোসেন এবং খুলনা-৬ আসনে মোঃ আক্তারুজ্জামানের বদলে নৌকা পাচ্ছেন মো. রশিদুজ্জামান।
সাতক্ষীরায় প্রার্থী পাল্টেছে দুটি। সাতক্ষীরা-২ আসনে মীর মোস্তাক আহমেদ রবির জায়গায় মো আসাদুজ্জামান বাবু এবং সাতক্ষীরা-৪ আসনে এস এম জগলুল হায়দারের জায়গায় বেছে নেওয়া হয়েছে এস এম আতাউল হককে।
২৪ আসনের ৯ জনই বাদ
সবচেয়ে বেশি প্রার্থী পাল্টানো হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ-৩ আসনে নাজিম উদ্দিন আহমেদের জায়গায় নিলুফার আনজুম, ময়মনসিংহ-৫ আসনে কে এম খালিদের আসনে আব্দুল হাই আকন্দ এবং ময়মনসিংহ-৯ আসনে আনোয়ারুল আবেদীন খানের জায়গায় বেছে নেওয়া হয়েছে আবদুস সালামকে।
জামালপুরেও আসন পাল্টেছে তিনটি। এর মধ্যে জামালপুর-১ আসনে আবুল কালাম আজাদের জায়গায় নূর মোহাম্মদ, জামালপুর-৪ আসনে মুরাদ হাসানের জায়গায় মো. মাহবুবুর রহমান এবং জামালপুর-৫ আসনে মোজাফফর হোসেনের জায়গায় বেছে নেওয়া হয়েছে আবুল কালাম আজাদকে।
নেত্রকোণায় প্রার্থী পাল্টেছে দুটি। নেত্রকোণা-১ আসনে মানু মজুমদারের জায়গায় মোশতাক আহমেদ রুহী এবং নেত্রকোণা-৫ আসনে ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের আসনে বেছে নেওয়া হয়েছে আহমদ হোসেনকে। শেরপুরের তিনটি আসনের মধ্যে প্রার্থী পাল্টানো হয়েছে একটি। শেরপুর-৩ আসনে এ কে এম ফজলুল হকের জায়গায় প্রার্থী করা হয়েছে এ ডি এম শহীদুল ইসলাকে।
সিলেট বিভাগে যারা বাদ
সিলেটের ছয়টি আসনের মধ্যে প্রার্থী বদল হয়েছে একটিতে। সিলেট-৫ আসনে হাফিজ আহমেদ মজুমদারের জায়গায় মাসুক উদ্দিন আহমদ নৌকা নিয়ে লড়বেন। সুনামগঞ্জ-১ আসনে মোয়াজ্জেম হোসেন রতন মনোনয়ন পাননি। নৌকা পাচ্ছেন রনজিত চন্দ্র সরকার।
সুনামগঞ্জ-২ আসনে প্রয়াত নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্তকেও বাদ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। মনোনয়ন পেয়েছেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। হবিগঞ্জে আসন পাল্টেছে দুটি। এর মধ্যে হবিগঞ্জ-১ আসনে গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজের জায়গায় মো. মুশফিক হোসেন চৌধুরী এবং হবিগঞ্জ-২ আসনে আব্দুল মজিদ খানের আসনে প্রার্থী করা হয়েছে ময়েজ উদ্দিন শরীফকে। মৌলভীবাজার-৩ আসনে এবার নৌকা নিয়ে লড়বেন মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য নেছার আহমদ।
বরিশাল বিভাগে যারা বাদ
বরিশাল জেলার দুজন সংসদ সদস্যকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। বরিশাল-২ আসনে শাহে আলমের জায়গায় লড়বেন তালুকদার মো. ইউনুস।
বহুল আলোচিত বরিশাল-৪ আসনে পংকজ নাথকেও মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হবেন সাবেক নেতা মহিউদ্দিন আহমেদের মেয়ে শাম্মী আহমেদ। বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনও মনোনয়ন পাননি। এই আসনে লড়বেন সুলতানা নাদিরা।