মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কড়া নির্দেশনা দিলেন শেখ হাসিনা

টুইট ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোনো অবস্থাতেই বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, যাকেই নৌকার মনোনয়ন দেয়া হবে তার জন্যই সবাইকে কাজ করতে হবে।

রোববার (২৬ নভেম্বর) সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে শেখ হাসিনা বিএনপি- জামায়াতের নাশকতা প্রতিরোধ ও অপপ্রচার বন্ধে রাজপথে থাকারও নির্দেশনা দেন নেতাদের।

আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের আজ মাহেন্দ্রক্ষণ। প্রার্থীতা বাছাইয়ের পূর্বক্ষণে নৌকার সম্ভাব্য মাঝিদের গণভবনে ডাকেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সকাল সকাল গণভবনের ভেতরে মিলনমেলা বসে নৌকার কান্ডারিদের।

সারাদেশ থেকে ৩ হাজার ৩৬২ জন আসেন প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিতে। উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।

মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সারিতে ছিলেন খেলার মাঠে প্রিয় তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, চিত্রনায়ক ফেরদৌসসহ নানা অঙ্গনের তারকারা। প্রার্থীরা বলছেন, মাঠে যারা কাজ করেছেন, জনসম্পৃক্ততা রয়েছে এমন ত্যাগী আর পরীক্ষিতদের মূল্যায়ন করবে আওয়ামী লীগ।

প্রার্থীরা বলছেন, দল যাকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে তার জন্যই কাজ করবেন তারা। আগামী দিনে নৌকাকে তীরে ভেড়াতে একাট্টা মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

আড়াই ঘণ্টার পর বেলা সাড়ে ১২টায় শেষ হয় বৈঠক। গণভবন থেকে বেরিয়ে প্রার্থীরা বলেন, বিএনপির নাশকতা প্রতিরোধ আর প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করা পর্যন্ত মাঠে থাকার কড়া নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা।

গত শনিবার (১৮ নভেম্বর) থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হয়। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিনে দলটির দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া জানান, ৩ হাজার ৩৬২টি মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ। এতে ক্ষমতাসীন দলটির আয় হয়েছে ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

চলতি মাসের ১৫ তারিখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়নের আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।