শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ব্যাংক হিসাব তলব

টুইট ডেস্ক: বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করেছে।

সোমবার বিএফআইইউ দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি চিঠি পাঠিয়ে তাদের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চেয়েছে। চিঠিতে হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি, লেনদেন বিবরণীসহ প্রয়োজনীয় তথ্য পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ অগাস্ট ২০২৪ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। সঙ্গে নিয়ে যান তার ছোট বোন শেখ রেহানাকেও।

১৯৯৬ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়া শেখ হাসিনা ২০০৮ থেকে টানা চারবার দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৪, ২০১৮, ও ২০২৪-এর নির্বাচনগুলো বিতর্কিত ছিল। ২০১৪ ও ২০২৪-এর নির্বাচনে বিরোধী দল অনুপস্থিত থাকায়, এবং ২০১৮-তে আগের রাতে ব্যালটের সিল মারার অভিযোগে ভোটগুলো সমালোচিত হয়।

বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের তথ্য চাওয়ার কারণ:

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোথা থেকে অর্থ এসেছে এবং তা কোথায় খরচ হয়েছে, এসব তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। ট্রাস্টের চিঠিতে ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনের। ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানা অন্যতম ট্রাস্টি।

বিএফআইইউর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালার আওতায় এই তথ্য তলব করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জের সরাফাত পরিবারের হিসাবও তলব:

বিএফআইইউ গোপালগঞ্জের বাসিন্দা এবং ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরুল্লাহ সরাফাত, তার ভাই চৌধুরী হাবিবুল্লাহ সরাফাত এবং তাদের মা ডালিয়া চৌধুরীর ব্যাংক হিসাবের তথ্যও চেয়েছে। এর আগে তাদের ভাই এবং পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছিল।

সরাফাত পরিবারের সঙ্গে শেখ হাসিনা পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে।

বিএফআইইউর নির্দেশনার ফলাফল:

এই তলবের ফলে মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অর্থের স্বচ্ছতা এবং লেনদেনের বিশ্লেষণ উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে এটি একটি নজির হয়ে থাকবে কীভাবে বিশেষ পরিস্থিতিতে আর্থিক লেনদেনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়।

১৯৯৬ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়া শেখ হাসিনা ২০০৮ থেকে টানা চারবার দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৪, ২০১৮, ও ২০২৪-এর নির্বাচনগুলো বিতর্কিত ছিল। ২০১৪ ও ২০২৪-এর নির্বাচনে বিরোধী দল অনুপস্থিত থাকায়, এবং ২০১৮-তে আগের রাতে ব্যালটের সিল মারার অভিযোগে ভোটগুলো সমালোচিত হয়।