মেসির হাতেই মেজর লিগের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরুস্কার

টুইট ডেস্ক: মেজর লিগ সকারের বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন লিওনেল মেসি। ইনজুরিতে ৬২ দিন মাঠের বাইরে থাকলেও ১৯ ম্যাচে ২০ গোল করার পাশাপাশি ১৬টি অ্যাসিস্ট করে এই পুরস্কার পেয়েছেন। তবে পুরস্কার পাাওয়ার পরে মেসি নিজেই জানিয়েছেন লিগ শিরোপা জিততে না পারার আক্ষেপ। তবে এমএলএস কাপ জিতে সেই আক্ষেপ ঘোচাতে চান মেসি।

২০২৩ সালের জুনে পিএসজি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে নাম লিখেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। ফুটবলের রাজাকে পেয়ে মায়ামি ভক্তরা যেমন দেখেছিল সেরার মসনদ জয় করার স্বপ্ন, ঠিক তেমনি মেজর লিগ কর্তৃপক্ষের জন্য জন্য ছিল এটি বিশাল পাওয়া। ইউরোপের ঐতিহাসিক লিগ গুলোর পাশাপাশি ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ক্লাব গুলোর জৌলুশ কিংবা সৌদি লিগের অর্থের প্রাচুর্যের মাঝে মেসির হাত ধরে মেজর লিগ সকারকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার।

তবে ২০২৪ সালটা পরিকল্পনা অনুযায়ী পার করতে পারেনি মেসি। ইনজুরিতে চোটের কারণে তিন মাসের বেশি সময় ছিল মাঠের বাইরে। দিনের হিসেবে সেটা ৬২। তবে রাজাতো আর প্রতিদিন যুদ্ধে যান না। দু একবার মাঠে নেমেই উল্টে দেন পাশার দান। মেসিও ঠিক তাই করেছেন। মাঠে নেমে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন। ১৯ ম্যাচ খেলে লিও করেছেন ২০টি গোল আর সতীর্থদের দিয়ে করিয়ে নিয়েছেন আরও ১৬টি গোল।

আর এতেই নিজের প্রথম মৌসুমের মেজর লিগ সকারের মোস্ট ভেলুয়েবল খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতে নিয়েছেন মেসি। ইন্টার মায়ামির ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এমএলএসের সেরা খেলোয়াড় হবার গৌরব অর্জন করেছেন মেসি।
এলএমটেনের কল্যাণে প্রথমবারের মতো মায়ামি জিতেছে সাপোর্টার্স শিল্ড। সেই সাথে মেজর লিগে নিজেদের ক্লাব ইতিহাসে সর্বাধিক পয়েন্ট পাওয়ার কীর্তিও গড়েছে মায়ামি। কিন্তু এত কিছুর পরও সন্তুষ্ট নন মেসি। যে মহাতারকা বিশ্বকাপ, লা লিগা, লিগা ওয়ান, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো ট্রফি জিতে অভ্যস্ত তিনি এতটুকুতে খুশি হবেন না সেটাই স্বাভাবিক।

লিওনেল মেসি বলেন, আমি অন্য এক পরিস্থিতিতে এই পুরস্কারটি পেতে চেয়েছিলাম। শনিবারের কাপ ফাইনাল। সেই শিরোপা জিতে পুরস্কার নিতে পারলে সেটা দারুন কিছু হতো। এই বছর এমএলএস লিগ শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ছিল আমাদের। এবার সেটা পূর্ণ হয়নি, তবে আগামী বছর আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে আবার চেষ্টা করব।

উল্লেখ্য, খেলোয়াড়, গণমাধ্যমকর্মী ও ক্লাবগুলোর ভোটে নির্বাচিত করা হয় মোস্ট ভেলুয়েবল খেলোয়াড়কে। এমএলএস জানিয়েছেন যেখানে মেসি পেয়েছেন ৩৪.৪৩ শতাংশ ভোট। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩.৭০ ভোট পেয়েছেন কুচো হার্নান্দেস।