উত্তরে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১০ ডিগ্রিতে
টুইট ডেস্ক: দেশের উত্তর জনপদে জেঁকে বসেছে শীত। তাপমাত্রা ক্রমশ কমার সঙ্গে অব্যাহত রয়েছে ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাস। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্নআয়ের মানুষ।
দিনাজপুরে আজ (শনিবার) সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি বছরে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হচ্ছে হিমেল বাতাস। আর তার সঙ্গে যোগ দেয় ঘন কুয়াশা।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, আজ শনিবার সকাল ৬ টায় দিনাজপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১ কিলোমিটার।
পঞ্চগড়ে তীব্র ঠান্ডায় জুবুথুবু অবস্থায় স্থানীয়রা। গতকাল সারাদিন শ্বেত শুভ্র কুয়াশার সাথে সূর্যের লুকোচুরি খেলায় শেষ পর্যন্ত দেখা মিলেনি সূর্যের। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করতে দেখা গেছে অনেকেই।
জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, আজ সকাল ছয়টায় সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ জানিয়েছে, তীব্র ঠান্ডার কারণে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের বর্হিবিভাগ ও অন্তঃবিভাগে রোগী ভর্তির হার বেড়েছে। কোল্ড ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ জ্বর-স্বর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত লোকজনের অধিকাংশই শিশু ও বয়ঃবৃদ্ধ।
চুয়াডাঙ্গায় হিমেল হাওয়া ও কুয়াশায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা। ঠান্ডা বাতাসে দিশেহারা হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও ছিন্নমুল মানুষ। তাদের স্বাভাবিক কাজ-কর্ম ব্যাহত হচ্ছে।
তীব্র ঠান্ডার কারণে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষকে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এসব মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারেননি। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে তাদের কষ্ট করতে হচ্ছে। কনকনে ঠান্ডা বাতাসে হাত-পা জড়ো হয়ে আসছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, আজ শনিবার সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বাতাসের আদ্রতা ৯৭% রেকর্ড করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইতে শুরু করায় জেঁকে বসছে শীত। সারাদিন কুয়াশায় আকাশ ঢাকা থাকায় বিরাজ করছে কনকনে ঠাণ্ডা। কোন কোনদিন সারাদিনেও সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছেনা। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে চারদিক। কুয়াশার কারণে বিভিন্ন সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
শীতের তীব্রতার জন্য নিম্নআয়ের মানুষ কাজে যেতে না পেরে দুর্ভোগে পড়েছেন।