ইউনূসের পরিকল্পনাতেই বাংলাদেশে গণহত্যা, আমেরিকার সভায় শেখ হাসিনা
টুইট ডেস্ক: গণ আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতনের অভিযোগ করে আসছে ভারত। একই অভিযোগ তুলে অপপ্রচার চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ ও ভারতীয় গণমাধ্যম। সম্প্রতি উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকনের বর্হিস্কৃত নেতা চিন্ময় দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব ইস্যুতে ভারত-বাংলাদেশে উত্তেজনা চরমে পৌছেছে। এবার এই উত্তেজনায় ঘি ঢাললেন শেখ হাসিনা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবর মঙ্গলবার ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়াল বক্তৃতা করেছেন শেখ হাসিনা। সেখানে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে দুষেছেন তিনি। সেই সঙ্গে ট্রাম্পের সুরে সুর মিলিয়েই শেখ হাসিনা প্রশ্ন তুলেছেন, কেন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চলছে। নিউইয়র্কের ওই সভায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী, ধর্মস্থান এবং ধর্মীয় সংগঠন ইসকনের ওপর হামলারও নিন্দা করেছেন শেখ হাসিনা।
ড. ইউনূসকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্যও করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে ড. ইউনূসই ছাত্র সমন্বয়কদের নিয়ে একটি সুনিপুণ পরিকল্পনার মাধ্যমে গণহত্যায় লিপ্ত হয়েছেন। তারাই মাস্টারমাইন্ড।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারক রহমানকে নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, সেই সময় তারেক রহমান লন্ডন থেকে বলেছেন, যদি মৃত্যু চলতেই থাকে, তাহলে সরকার টিকে থাকবে না।
দিল্লি যাওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন শেখ হাসিনা। তাকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী সভাপতি। তার নিরাপত্তারক্ষীরা তা ঠেকাতে যদি গুলি চালাতেন তাহলে গণভবনে বহু মানুষের মৃত্যু হতো। তিনি গণহত্যা চাননি। ক্ষমতায় থাকলে গণহত্যা হতো। এজন্যই তিনি ক্ষমতা ও দেশে ছাড়নে বলে জানান।