প্যালেস্টেনিয়ান ৩৯ বন্দিকে মুক্তি দিল ইসরায়েল
প্যালেস্টেনিয়ান বন্দিদেরকে বহনকারী একটি গাড়ি ইসরায়েলের ওফের কারাগারে প্রবেশ করছে। ছবি: সংগৃহীত
টুইট ডেস্ক : হামাসের সঙ্গে জিম্মি মুক্তির চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েলি বন্দির বিনিময়ে ৩৯ জন প্যালেস্টেনিয়ান বন্দিকে শক্রবার স্থানীয় সময় রাতে মুক্তি দিয়েছে ইযরায়েল। কাতারের মধ্যস্থতা করা চুক্তিটিতে চার দিন যুদ্ধবিরতির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
মুক্তি দেয়া প্যালেস্টেনিয়ান বন্দিদের বিরুদ্ধে পাথর নিক্ষেপ, হত্যাচেষ্টা সহ আরও নানা অভিযোগ ছিল। তাদের মধ্যে অনেকেই ইসরায়েলে বিচারের অপেক্ষায় ছিলেন।
অধিকৃত পশ্চিম তীরে বেইতুনিয়া চেকপয়েন্টের মাধ্যমে ২৪ জন নারী ও ১৫ জন কিশোরের এই দলটিকে মুক্তি দেয় ইযরায়েল। ইসরায়েলের প্রিজন সার্ভিস জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিরা ঘরে ফেরার অনুমতি পাবেন।
ইযরায়েলের করা ৩০০ নারী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক বন্দিদের তালিকা থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য ওই ৩৯ জনকে নির্বাচন করা হয়।
তালিকায় থাকা এক-চতুর্থাংশেরও কম বন্দি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। বাকিদেরকে বিচারের আগে রিমান্ডের আওতায় আনা হয়েছে। তালিকার বন্দিদের ৪০ শতাংশই ১৮ বছরের কম বয়সী বালক। তাদের মধ্যে একজন কিশোরী ও ৩২ জন নারীও রয়েছেন।
বন্দিদের মুক্তির আগে রামাল্লার কাছে বেইতুনিয়া চেকপয়েন্টের রাস্তায় অনেক প্যালেস্টেনিয়ান ইসরায়েলের সৈন্যদের মুখোমুখি অবস্থান নেন। ভিড় কমাতে ইসরায়েলের সেনারা তাদের দিকে রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। জড়ো হওয়া প্যালেস্টেনিয়ানরাও তাদের দিকে পাথর ও টিয়ার গ্যাসের খালি পাত্র ছুড়ে মারেন।
সেখানে উপস্থিত মোহাম্মেদ খাতিব নামের এক ব্যক্তি বিবিসিকে বলেন, প্যালেস্টেনিয়ান ও ইযরায়েলিদের জন্য এটি একটি আশার সংকেত যে যুদ্ধবিরতি হবে ও এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হবে।
মুক্তি পেতে যাওয়া প্যালেস্টেনিয়ান বন্দিরা তাদেরকে বহনকারী বাসটির ভেতর আনন্দে নাচছিলেন। বাসের ভেতরে থাকা একজনকে শরীরে প্যালেস্টেনিয়ান পতাকা জড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
বন্দিদেরকে বরণ করতে আসা মানুষদের মধ্যে অল্প কয়েকজনের হাতে হামাসের পতাকা দেখা গেছে। বাকি সবাই এই বন্দি মুক্তির ঘটনাকে এই যুদ্ধাবস্থায় একটি জয়ের মুহূর্ত বলে উল্লেখ করেছেন।
এই সময় প্যালেস্টেনিয়ান বন্দিদের বিনিময়ে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী নিজেদের কাছে জিম্মি থাকা ১৩ জন ইযরায়েলিকেও মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের বাড়ি ফেরার ব্যাপারটি শুক্রবার নিশ্চিত হয়।