শরীরের স্থূলতাসহ নানা রোগ প্রতিরোধে কী পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের?
টুইট ডেস্ক : সব বয়সিদের মাঝেই এখন জনপ্রিয় ফাস্টফুড। সন্ধ্যা হলেই ভিড় জমে এ ধরনের খাবারের দোকানগুলোতে।
তবে এসব খাবারে অতিরিক্ত লবণ ও কার্বহাইড্রেট থাকায় শরীরে বাসা বাঁধছে স্থূলতাসহ নানা রোগ; বাড়ছে চিকিৎসা খরচ। এ অবস্থায় যথাসম্ভব ফাস্টফুড পরিহারের পরামর্শ চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের। পাশাপাশি খাদ্যের মান নিশ্চিতের ওপরও গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।
রাজধানীর ব্যস্ত সড়কগুলোর পাশে দেখা মেলে মুখরোচক খাবারের অনেক দোকান। এগুলো কাবাব ও পাস্তাসহ নানা ফাস্টফুড আইটেমে ভরপুর; কমতি নেই ক্রেতারও। কিন্তু এ ধরনের ফাস্টফুডে রয়েছে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নানা উপাদান।
পুষ্টিবিদ আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, যে ধরনের উপাদান দিয়ে ফাস্টফুড তৈরি করা হয়, সেগুলো সব সময় আমাদের শরীরের জন্য ভালো না। এতে আত্মবিশ্বাস কমে যায়। একটা সময় দেখা যায় এনার্জি না পেয়ে তারা ঝিমুচ্ছেন।
তার এ বক্তব্য জানেন অনেকেই; কিন্ত মানেন কজন? এ সমস্যা শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই অনেক জনপ্রিয় পুষ্টিগুণহীন মুখরোচক এ ধরনের খাবার। এর কারণে বাড়ছে স্থূল মানুষের সংখ্যা এবং এ সংক্রান্ত নানা অসুখ-বিসুখ।
২০২২ সালে প্রকাশিত গ্লোবাল নিউট্রিশন রিপোর্টের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় ১৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কই অতিরিক্ত ওজন ও স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন। যেখানে ১৯৮০ সালে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এ হার ছিল ৭ শতাংশ, আর শিশুদের মধ্যে ৩ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এর একটি বড় কারণ দেশে ফাস্টফুডের নতুন নতুন উৎসমুখ খুলে যাওয়া এবং মানুষের ফাস্টফুডের প্রতি আসক্তি বেড়ে যাওয়া। খাদ্যাভ্যাসের এ পরিবর্তনের কারণে অসংক্রামক রোগ বেড়েছে ৬০ শতাংশ। এতে বাড়ছে চিকিৎসা খরচও। তাই ঘরোয়া ও দেশীয় খাবারকে প্রাধান্য দেয়ার পরামর্শ দেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘সরকারিভাবে ফাস্টফুডের মান নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ কঠোরভাবে নেয়া যেতে পারে। এসব খাবারে যাতে অতিরিক্ত চর্বি বা ক্ষতিকর চর্বি দেয়া না হয় এবং এগুলো ভাজার সময় ও মান যাতে ঠিক রাখা হয়, এ দুয়ের সমন্বয়েও আমরা নিয়ন্ত্রণের দিকে যেতে পারি।’